প্রথমবারের মতো ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন’ সিসি ক্যামেরা বসছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। আড়াইশো কিলোমিটার জুড়ে স্থাপন করা হচ্ছে অত্যাধুনিক এ ক্যামেরা। কাজটি দ্রুত গতিতে চলছে। এটি চালু হলে সুফল মিলবে বলে আশা যাত্রী ও চালকদের।
রোববার দুপুরে ফেনী মহিপাল হাইওয়ে থানা প্রাঙ্গণে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন হাইওয়ে পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি মো. শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার)। তিনি আরও বলেন, আইনকে পাশ কাটিয়ে কোন অপরাধ করা যাবে না। আইনকে শ্রদ্ধা করে সড়কে চলাচল করতে সকল মালিক, শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। হাইওয়ে সড়কে কোন সিএনজি অটোরিকশা ও থ্রী হুইলারগুলো চালানো যাবে না। কারণ যেকোনো সময় এ গাড়িগুলো বড় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই আমাদের মানতে হবে আইন মানার সংস্কৃতি। এর বাইরে কেউ আইন না মানে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাইওয়ে দুষ্ট চক্রকে ভেঙ্গে দেয়া হলে সব শৃঙ্খলা আসবে। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিনিয়ত প্রস্তুত আছি।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, কমিউনিটি পুলিশিং কুমিল্লা রিজিয়নের সভাপতি ও স্টার লাইন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন, ফেনী জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম নবী।
হাইওয়ে পুলিশের কমিউনিটি পুলিশিং’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু মুসার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, ফাজিলপুর হাইওয়ে থানার কমিউনিটি পুলিশিং’র সভাপতি মো. মুজিবুল হক রিপন, শর্শদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূইয়া, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ হাজারী, মহিপাল হাইওয়ে থানার কমিউনিটি পুলিশিং’র সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন খোকন, আন্ত:জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিভাগের কার্যকরী কমিটির সভাপতি আজম চৌধুরী, খাগড়াছড়ি বাস মালিক সমিতির সভাপতি মামুন চৌধুরী, ফেনী জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোরশেদ আলম মিয়াজী।
অনুষ্ঠানে মহিপাল হাইওয়ে থানা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্যসহ জেলার বিভিন্ন মালিক গ্রুপ ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
