চলমান সাইফার মামলার বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। সাইফার মামলাকে পাতানো খেলা বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
গতকাল শনিবার আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে ইমরান খান এসব কথা বলেন। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে পাকিস্তানের ইংরেজি ভাষাভিত্তিক সংবাদপত্র এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। এ সময় নাজাম শেঠির কথা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের ইমরান খান বলেন, ‘এই বিশিষ্ট সাংবাদিক ৫ ফেব্রুয়ারির আগে আমার শাস্তির ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। সবাই জানেন যে তিনি এই তথ্য কোথা থেকে পেয়েছেন। আদালতের উচিত তার সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং তাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে তিনি এই তথ্য কোথা থেকে পেয়েছেন।’
ইমরান খান বর্তমানে কারাগারে থেকে কয়েক ডজন আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন। একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে, আসন্ন ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে তাকে বিরত রাখা হয়েছে। ২০১৮ সালে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয় পিটিআই। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হন। ইমরান মিয়ানওয়ালিতে একটি হাসপাতাল ও একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। ধারণা করা হয়, ইমরান খানের ক্ষমতায় আসার পেছনে সেনাবাহিনীর সমর্থন ছিল। কিন্তু ক্ষমতায় থাকাকালে আবার ক্ষমতাধর জেনারেলদের নিয়ন্ত্রণ কমাতে চেয়েছিলেন তিনি। ফলে তিনি তাদের সমর্থন হারান এবং ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
এদিকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইমরান খান তার নির্বাচনী এলাকা ও পৈতৃক জন্মভূমি মিয়ানওয়ালিতে খুবই জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বে সেখানকার রাস্তা-ঘাটে তার দলের পোস্টার ও পতাকাশোভিত রাজনৈতিক প্রচারণার নামগন্ধই খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর নিরবচ্ছিন্ন দমন-পীড়নে তাকে ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) ভোটাভুটির আগেই নির্বাচনী প্রচারণা থেকে প্রায় মুছে ফেলা হয়েছে।