জাতীয় নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই সারা দেশের মতো কিশোরগঞ্জেও বইছে উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া। জেলাজুড়েই চলছে নির্বাচনী তোড়জোড়। মাঠ ঘাঠ থেকে শুরু করে প্রচার প্রচারণা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন থেকেই আটঘাট বেঁধে মাঠে নামছেন।
এক্ষেত্রে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপিতে এখনো নির্বাচন ঘিরে কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। জানা যায়, আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মতো উন্মুক্ত রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। তাই এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দিবে না আওয়ামীলীগ। তাই সম্ভাব্য এলাকায় সরব রয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলছে প্রার্থিদের প্রচার প্রচারণা। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহেই প্রথম ধাপের তফশিল ঘোষণা হবে। তাই ভেতরে ভেতরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী তোড়জোড় শুরু করেছেন।করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ এ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৬ নেতা সহ অন্যান্য দলের একাধিক নেতা আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ।তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলে নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় তিনি নির্বাচন করবেন কিনা বিষয়টি এখনো ক্লিয়ার না।নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পদত্যাগ করলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পান উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান হান্নান মোল্লা।তিনি এবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।তিনি ছাড়াও উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে যারা নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে তারা হলেন-জেলা আ.লীগের সদস্য এডভোকেট মোজাম্মেল হক মাখন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আলী ভূইয়া,করিমগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আজিজুল হক কামাল,উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খান দিদার,জেলা পরিষদের সদস্য ডাঃ মোঃ সোহাগ ও সাবেক যুবলীগ নেতা ফজলুর রহমান রাজু।
সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আজিজুল হক কামাল শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠে কাজ করছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। ১১ টি ইউনিয়নে তার রয়েছে নিজস্ব বলয়। দলীয় নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষের সাথে রয়েছে তার নিবিড় যোগাযোগ। এ বিষয়ে করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী আজিজুল হক কামাল বলেন,’আমি দীর্ঘদিন যাবত করিমগঞ্জ উপজেলাবাসীর সুখ দুখে পাশে আছি। দলীয় নেতাকর্মী সহ এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছি।
দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে আমি প্রার্থী হবো। বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো:হান্নান মোল্লা বলেন,আমি গত ৫ বছর ভাইসচেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে কাজ করেছি। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর দ্বায়িত্ব পালন করছি।সাধারণ মানুষের সাথে আমার যোগাযোগ রয়েছে।আশা করি সাধারণ মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী করবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী এড.মোজাম্মেল হক মাখন বলেন,আমি দীর্ঘদিন যাবত এলাকার তৃণমূল মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছি। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক আচার অনুষ্ঠানে যোগদানের মাধ্যমে মানুষের পাশে আছি।তাই আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবো ও জনগণের সমর্থন নিয়ে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো।