গ্রাম বাংলার হাজার বছরের প্রবাহে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অন্যতম অংশ বাহারি পিঠাপুলির আয়োজন বাঙালি সংস্কৃতির বিশেষ অনুষঙ্গ। পৌষের শিশির আর মাঘের হাড় কাঁপানো শীতের সন্ধিণে কালের স্রোতে হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন মুখরোচক পিঠাকে তরুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ও সবার কাছে পরিচিত করে তুলতেই ঠাকুরগাঁওয়ে হয়ে গেল পিঠা উৎসব।
চারিদিকে হরেক রকমের বাহারি পিঠাপুলির দোকান। ভাপা পিঠা, চিতই, মালপোয়া, পাটিসাপটা, নকশী পিঠা, বিবিয়ানা সহ নানান পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন উদ্যোক্তারা। শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কাজীপাড়ায় এলাকাবাসী আয়োজন করে এই পিঠা উৎসবের। এতে অংশ নেয় ২৩ জন উদ্যোক্তা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই পিঠা উৎসবে সুস্বাদু ও মুখরোচক পিঠা খেতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন সব বয়সের মানুষ। জানা অজানা হরেক রকমের পিঠা খেয়ে তাদের দাবি বারবার এরকম আয়োজন করার।
পিঠা উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: সোহাগ হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা মো: মোস্তফা, স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক বাবুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন স্থানীয় তৌফিক, লিটন, আজমত রানা, কমল সাহেব কাদেরীসহ অন্যান্যরা।
নিজেদের তৈরি পিঠা ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরতে পেরে খুশি পিঠা উৎসবে আসা উদ্যোক্তারা এবং উৎসবে আসা বেশ সাড়া ছিল বলে জানান তারা। বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ভবিষ্যতে নিয়মিত এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা। হার কাপানো শীত উপো করে সন্ধ্যা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত চলে এই পিঠা উৎসব।