আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উত্তাপ শুরু হয়ে গিয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা জুড়ে। সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ফেসবুকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, গণসংযোগে সরব রয়েছে উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা।ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নপপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও রুস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ,সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার, জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আ’লীগের সদস্য এডভোকেট মিজানুর রহমান মুন্সি, এ্যাড মারুফ বিন জাকারিয়া।
রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট মারুফ বিন জাকারিয়া প্রার্থীতা ঘোষণার সাথে সাথে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী অধ্যাক্ষ মামুনুর রশিদ ও আলতাফ মাষ্টারের।কারন ভোটযুদ্ধে মারুফের জনপ্রিয়তাই কাল হয়ে দাড়িয়েছে ভোটের মাঠে তরুনদের ভোট।কারন গত নির্বাচনে ব্যাপক জনসমর্থন থাকার পরেও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে বাধ্য হয়। তবে সেই নির্বাচনে বিপুল পরিমান ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।তিনি বর্তমানে উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বোচ্ছ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন এই তরুন প্রার্থী। ভাইস-চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার পরে তিনি উপজেলা যুবলীগের সদস্য এবং বর্তমানে রায়পুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের কর্মীদের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন। গৃহহীনকে সহযোগিতা নিয়ে গৃহনির্মাণ করে দেয়া, কর্মহীনকে কর্ম যোগাড় করে দেয়া, করোনা মহামারীতে লকডাউনে আটকা পড়া সাধারন জনগনের জন্য চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করা, করোনা আক্রান্ত মৃত লাশ দাপনের ব্যাবস্থা করে তিনি এবং তাঁর টিম ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন।
তিনি রায়পুর রাখালিয়া গ্রামের আলাউদ্দীন পাটোয়ারী বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম জাকারিয়া পেয়ারুর কনিষ্ঠ ছেলে। তার ভাই এবিএম মামুন বিন জাকারিয়া রায়পুর থেকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দু’বার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করছেন।
তরুন আইনজীবী হিসেবে মারুফ বিন জাকারিয়া লক্ষ্মীপুর আদালত ছাড়িয়ে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়ে মারুফ বিন জাকারিয়া বলেন , নির্বাচিত হয়ে পুরো ৫ বছর জনগনের পাশেই ছিলাম, জনগনের ভালোবাসায় এবার চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে উৎসাহিত হয়েছি। ইনশাআল্লাহ জনগনের প্রত্যক্ষ সমর্থনে এবার চেয়ারম্যান হতে চাই। নির্বাচিত হলে আমি নিজে এবং নিজের পরিবারের সদস্যগনকে জনগনের কল্যানেই বিলিয়ে দিতে চাই। রায়পুরের শিক্ষা, চিকিৎসা, বেকারত্ব নিয়ে কাজ করতে চাই।
মারুফ আরো বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে গিয়ে জামায়াত-বিএনপি মৃত্যু নিশ্চিত করে একাধিক হামলায় আল্লাহর অসেশ রহমতে বেঁচে গিয়ে অন্দোলে অংশ গ্রহণ করেছি। বর্তমানে নানা চাপের মধ্যেও দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে আছি। যে কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছি প্রচার-প্রচারণা। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা নেতাদের অবহিত করছি নিজ প্রার্থিতার জন্য সহযোগিতা করতে। এলাকার ভোটারদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবী করেন খুব অল্প সময়। অনেকেই ভোট আসলে প্রার্থীতা ঘোষণা দেয়। অনেকেই ভোট এলে এলাকার মানুষ তাদের চোখে দেখেন না। দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার রয়েছে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এলাকার মানুষের পাশেই থাকতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি নির্মূল করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা লক্ষে কাজ করে যাবো। এ ছাড়াও সাংবাদিকদের জন্যে সরকারি জায়গায় প্রেস ক্লাব করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ভোটে বিজয়ের বিষয় তিনি বলেন, আমি হঠাৎ রাজনীতিতে আসিনি। তৃণমূল থেকে ছাত্র রাজনীতি করে এই পর্যায়ে এসেছি। রাজপথে থেকে বহু হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। নেত্রী বলেছিলেন, ত্যাগী নেতাদের কাছে আমাদের দল সবচেয়ে নিরাপদ। তাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীরা নেত্রীর কথা চিন্তা করে আমাকেই ভোট দিবেন বলে আমি শতভাগ আশাবাদী।