মুকুট নিজের করে রাখলেন সাবালেঙ্কা

২০২৩ সালের অস্ট্রেলিয়া ওপেনের আগ অবদি টেনিসে তেমন একটা পরিচিত মুখ ছিলেন না বেলারুশ টেনিস সুন্দরী আরিনা সাবালেঙ্কা। ছিলেন নারীদের র্যাংকিং তালিকায় পঞ্চম স্থানে। তবে বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হওয়া গ্র্যান্ড স্ল্যাম (অস্ট্রেলিয়া ওপেন) জেতার মধ্য দিয়ে তারকা খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।  

শনিবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ১১২তম মৌসুমের নারী একক ফাইনালে চীনের টেনিস তারকা কিনওয়েন ঝেং দাঁড়াতে দেননি আরিনা সাবালেঙ্কা। একপেশে এ ম্যাচে ৬-৩, ৬-২ গেমে জিতে শিরোপা নিজের করে নেয় সাবালেঙ্কা। আর এই জয়ে ২০১৭ সালে সেরেনার পর প্রথম নারী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়েছেন বেলারুশের ২৫ বছর বয়সি এই টেনিস সুন্দরী। এছাড়া অসাধারণ আরেকটি কীর্তি গড়েছেন সাবালেঙ্কা। ফাইনালে ওঠার পথে প্রথম ছয় ম্যাচে কোনো সেট হারেননি তিনি। শেষ ধাপেও সেই দাপট ধরে রেখে এই এলিট ক্লাবে যোগ দিলেন সাবালেঙ্কা; ২০০০ সাল থেকে করতে পেরেছেন কেবল অ্যাশলে বার্টি, সেরেনা উইলিয়ামস, মারিয়া শারাপোভা ও লিন্ডসে ডেভেনপোর্ট।

গোটা বছরটি কাটিয়েছিল স্বপ্নের মতো। উইম্বলডন ও ফরাসি ওপেনের সেমিতে ওঠেন। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে পৌঁছে। এবার নিজের সেই ছন্দটাই ধরে রেখে বছর শুরু করলেন বেলারুশ কন্যা। চলমান অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নারী এককের শিরোপা টানা দ্বিতীয় বারের মতো জিতেছেন সাবালেঙ্কা। এই ফাইনালে চীনের কিনওয়েন ঝেংকের বিপক্ষে জয় পেতে তার সময় লেগেছে ৭৫ মিনিট। আর তাতেই গেল বছরের পর এবারও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা ধরে রাখলেন তিনি। পাশাপাশি এই শিরোপার জয়ের মধ্য দিয়ে নারী টেনিস কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামসের রেকর্ডে ভাগ বসালেন এই বেলারুশের টেনিস তারকা।

অন্যদিকে কিনওয়েন ঝেংক প্রথম বারের মতো অস্ট্রেলিয়া ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন। এর আগে ২০১৪ সালে ঝেং কিনওয়েনের স্বদেশি তারকা লি না অস্ট্রেলিয়া ওপেনের শিরোপা জিতেছিল। তখন ঝেং কিনওয়েন ছিল মাত্র ১১ বছরের কিশোরী। ঐ শিরোপা জয়টি ঝেংক দেখেছিলেন টিভিতে। এরপর আর কোনো চীনা নারী টেনিস তারকা জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা। ১০ বছর পর কোনো চীনা টেনিস তারকার সামনে সুযোগ ছিল আবারও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা চীনে নেওয়ার জন্য। তবে বেলারুশ তারকা সাবালেঙ্কা তা হতে দেননি। হারের পর যখন কিন ঝেং কান্নায় ভেঙে পড়েন তখন তাকে সান্ত্বনা দিয়ে সাবালেঙ্কা বলেন, ‘এই তরুণ বয়সে (২১) তুমি অবিশ্বাস্য এক খেলোয়াড়। আমি জানি ফাইনাল হারাটা হতাশার, তবে এখানে তুমিও সফল হবে। তুমি ভবিষ্যতে ভালো করবে।’

তবে প্রথম বারের পর ফাইনালে উঠেও জিততে না পেরে খানিকটা হতাশ হলেও এখন থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজছেন ঝেংক। বলেন, ‘এটি আমার প্রথম ফাইনাল এবং আমি কিছুটা হতাশা বোধ করছি তবে একই সাবালেঙ্কার সঙ্গে এটি একটি ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। আমি খারাপ বোধ করছি। আমার কাছে মনে হয় আমি আরো ভালো করতে পারতাম।’

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You