বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক কমিটির ভাইস মিনিস্টার সান হাইয়ান নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে চীনের প্রতিনিধি দল এই সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাতে তারা দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য, রোহিঙ্গা ইস্যু, বঙ্গবন্ধুর চীন ভ্রমণ, সংসদীয় কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় তিনি নবনির্বাচিত সরকারকে অভিনন্দন জানান এবং স্পিকারকে চীন ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনা দূতাবাসের তৃতীয় সচিব ফেং ঝিজিয়া, আইডিসিপিসির ব্যুরো ফর সাউথইস্ট অ্যান্ড সাউথ এশিয়ান অ্যাফেয়ার্সের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জু মিন, দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক লি জিনইয়ান, দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর ওয়েন জুন, আইডিসিপিসি দ্বিতীয় সচিব জিন ইয়ান এবং ইংরেজি দোভাষী ঝাং গুইউসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক কমিটির ভাইস মিনিস্টার সান হাইয়ান বলেন, চীন বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সহযোগী। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করতে আগ্রহী।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের জাতীয় সংসদের সংসদীয় রীতিনীতির বিনিময় এবং সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা যেতে পারে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ এবং ১৯৫৭ সালে চীন ভ্রমণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর লিখিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’ গ্রন্থ পড়ে চীন সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়।রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছে। তিনি এসময় রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন। পরে স্পিকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চীনের পর্যবেক্ষক পাঠানো এবং নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ সরকারকে অভিনন্দন জানানোর জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ধন্যবাদ জানান।