অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি শেষে স্বস্তি ফিরেছে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালি জমির মালিকদের মাঝে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি)বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খলিশাখালি জমির ১৬৮/২১ মামলার আপিল শুনানী শেষে আদলত আপিল খারিজ করেন। এসময় বিচরপতি ওবাইদুল হাসান, বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম,বিচাপতি মো. আশফাকুল ইসলাম,বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মামলার শুনানী গ্রহণ করে।শুনানী শেষে আদলত বলেন,যেহেতু যুগ্ম জেলা জজ আদলতে মূল মামলা(মামলা নং ১৮/২০১০) গত ৩০/০৮/২০১৮ ইং তারিখে খারিজ হয়েছে সেহেতু এই মামলার অস্তিত্ব নেই,নতুন ভাবে মামলার শুনানীরও প্রয়োজন পড়েনা।বিধায় আদলত আপিল খারিজ করেন।
উল্লেখ্য,গত ২০২১ সালের ৪ ফ্রেব্রুয়রী সুপ্রিমকোর্ট আদেশ দেন এই সম্মত্তি মামলা চলাকালিন ব্যবস্থাপনা করবেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক।কিন্তু জেলা প্রশাসক ভূমি কর্মকর্তার মতামত ও জিপির মতামতের ভিক্তিতে এবং দলিল পর্যালোচনা করে মতামত দেন যে এই জমি ব্যক্তি মালিকানাধিন।এখানে সরকারের কোন স্বার্থ জড়িতে নেই।তাই নতুন মামলা করার এবং মামলার পক্ষভূক্ত হওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।বর্তমানে জমির মালিকগণ ভোগদখল পূর্বক জমিতে ফসল ও মাছ চাষ করছে।আদলত আগেই স্পষ্ট করে রায় দেন যে, এই জমি সংক্রান্ত বিষয়ে জমির মালিক এবং সরকার ছাড়া তৃতীয় পক্ষের কোন ভূমিকা নেই এবং যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে সরকার নিজে উদ্যোগ নিবে।
প্রসঙ্গ, গত কয়েক বছর যাবত স্বার্থান্বেষী তৃতীয় পক্ষ এই খলিশাখালি জমি নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার ও বিশ্রিঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সক্রিয়তায় তারা সফল হয়নি।