
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে দুই সপ্তাহ থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। রৌমারী ঘাট থেকে রৌমারী বাজার গামী রাস্তায় একটি বক্সকালভাট ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিসি। রৌমারী উপজেলার কুটিয়ার চর এলাকার রাস্তায় কালভাটের উপর পন্যবোঝাই গাড়ি উঠলে কালভার্টটি কাঁপতে থাকায় দেবে গিয়ে বড় ধরণের দূঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন। এদিকে দির্ঘ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলে নদের খননকৃত চ্যানেল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ।
জানা গেছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌপরিবহন কতৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্যোগে চিলমারী -রৌমারী নৌরুটে দির্ঘদিন ধরে নিয়মিত দুটি ফেরিতে পন্যবাহী সহ বিভিন্ন প্রকার পরিবহণ পারাপার করে আসছে। ফেরি দুটি হলো ফেরি কুঞ্জলতা ও ফেরি কদম। বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি কমে যাওয়ায় নাব্যতার সংকট দেখা দেয়। নিয়মিত চ্যানেল খননের মাধ্যমে বিআইডব্লিউটিএ নিয়মিত ফেরিতে পন্যবাহী পরিবহণ পারাপার করে আসছে।
এই রুটে প্রতিদিন ৪০-৫০টি পন্যবাহী পরিবহণ ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করছে। বর্তমান রৌমারী ঘাট থেকে ২ কি.মি. পরে কুটিয়ার চর এলাকায় একটি পুরাতন বক্সকালভাট ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় গত শনিবার থেকে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ২ সপ্তাহ ধরে কালভাটের কাজ শুরু/বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না করায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের চিলমারী নৌ ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ২ সপ্তাহ ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় রাস্তায় কয়েকটি পন্যবোঝাই পরিবহণ ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে। এ সময় আমিনুল ইসলাম , রবিউল ইসলাম,আনিছুর রহমান জানান,ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক ট্রাক ফিরে গেছে।
ফেরি কুঞ্জলতার মাস্টার অফিসার রেজাউল করিম জানান, কুটির চর ব্রীজটি যে কোন মহুর্তে দেবে যেতে পারে এ আশংকায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি ফেরি কুঞ্জলতা নিয়ে চিলমারী থেকে রৌমারী আসার পর আর চিলমারী ফিরে যায়নি। বিআইডব্লিউটিএর ম্যানেজার প্রফুল্য চৌহান বলেন, আমরা এলজিইডি’র সাথে যোগাযোগ করেছি। ব্রীজের সমস্যা সমাধান হওয়া মাত্রই ফেরি চলাচল শুরু করবে।