সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বিচার বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই চুক্তির বিষয়বস্তু সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে।
আজ (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এর অগ্রগতি নিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে বলেও জানান তিনি। বৈঠকে সৌদি রাষ্ট্রদূত আইনমন্ত্রীকে জানান, মুসলিম বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোন হিসেবে মনে করেন এবং তারা এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে অত্যন্ত আগ্রহী।বৈঠকে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক উন্নয়নেও তাঁরা উভয়ই একমত পোষণ করেন।
বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে ব্রিফিংকালে এক সাংবাদিক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ”বলা হচ্ছে সংসদে ৬৪৮ এমপি এখন। এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। মন্ত্রীরা যখন শপথ নেন তখন আগের মন্ত্রিসভা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও আগের সংসদ বাতিল হয় না। সেক্ষেত্রে আইনের অস্পষ্টতা আছে বলে আপনি মনে করেন কি না। সেটি স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না? এর জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলবো, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।
কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখনো জানি না। নীতি-নির্ধারকরা প্রয়োজন বোধ করলে কোন জায়গায় সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয় এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।
শেয়ার করুন:

Recommended For You