ফেনীর ফাজিলপুর বাজারের আলাদিন জুয়েলার্স থেকে চুরি হওয়া আরও ১৫ ভরি স্বর্ণ ও ৮ লাখ টাকাসহ খোকন চন্দ্র দাস (৩১) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার গ্রেফতার খোকনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। খোকন চন্দ্র দাস কুমিল্লার হোমনা কাশিপুর গ্রামের জেলেপাড়ার এলাকার নেপাল চন্দ্র দাসের ছেলে।
তিনি কুমিল্লার হোমনা এলাকার হাজী জুনুর আলী প্লাজার মমতা স্বর্ণ শিল্পালয়ের সত্বাধিকারী। এ ঘটনায় এর আগে পুলিশ ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ও চোরাই স্বর্ণালংকার বিক্রি করা নগদ ১ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার এজহার ও পুলিশ জানায়, ১১ জানুয়ারি ফাজিলপুরে আলাদিন জুয়েলার্স থেকে ৭৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩০ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি তদন্ত করে পুলিশ ১১ভরি স্বর্ণালংকার ও চোরাই স্বর্ণালংকার বিক্রি করা নগদ ১ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকাসহ মো. আলাউদ্দিন (৩০), মো. ফরহাদ (৩৯), মো. বাদশা চৌধুরী (২৩), মো. সজিব প্রকাশ সুমন প্রকাশ শুক্কুর (২৬), মো. মিজান (২৮), মো. শফিক প্রকাশ সোহেল প্রকাশ দাঁতলা শফিকদের (৩২) গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, ৬ আসামিকে আদালতে সোপর্দের পর আলা উদ্দিন, ফরহাদ হোসেন ও সুমন ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। বাকি আসামি বাদশা, মিজান ও শফিককে জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাদশার শ্বশুর বাড়ি থেকে চোরাই স্বর্ণালংকার বিক্রির ৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চোরাই স্বর্ণালংকার ক্রয়কারী ব্যবসায়ী খোকন দাসকে আটক করে তার মালিকানাধীন হোমনা উপজেলা শহরের মমতা জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ফেনীতে আলোচিত এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মাঝে ৩ জন ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার ও চোরাই স্বর্ণালংকার বিক্রির নগদ ৯ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
