কক্সবাজার জেলাজুড়ে বেড়েছে চোরাকারবারি। জ্বালানী তেল, অকটেনসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন নিত্যপণ্য অবৈধভাবে চোরাচাইপথে পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে। এ খবরের ভিত্তিতে সোমবার (২২ জানুয়ারি) একটি অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১৫। এসময় মিয়ানমারে পাচারকালে ৬৩৮ লিটার অকটেনসহ ৩ পাচারকারীকে আটক করে র্যাব। তেল পাচারের অভিযোগে তাঁদের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এণ্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়। র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ পৌরসভা এলাকায় অভিযান চালানোর সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অকটেন ভর্তি প্লাস্টিকের ড্রাম ফেলে পালানোর চেষ্টাকালে তিনজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আটককৃত তিন ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং আটককৃতদের থেকে ৬৩৮ লিটার অকটেনভর্তি ১১টি ড্রাম জব্দ করা হয়।
আটক চোরাকারবারীরা হলেন-টেকনাফ সদরের হাবিরছিড়া এলাকার মৌলভী আবদুর রহমানের পুত্র হাবিবুর রহমান (২২), নাইট্যং পাড়ার মৃত মীর মোহাম্মদের পুত্র জাফর আলম (২২) ও লেঙ্গুর বিল এলাকার মৃত আবুল কালামের পুত্র নুর হোসেন (৪০)।
র্যাবের দাবি, আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই চোরাকারবারীর সাথে জড়িত। তারা পরস্পর-পরস্পরের সহযোগীতায় দেশের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে পাইকারি দামে জ্বালানী তেল অকটেনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করত। পরবর্তীতে আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে অবৈধভাবে চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারে পাচার করে থাকে। আটককৃতদের পেট্রোলিয়াম আইন, ২০১৮ এর ২০ ধারায় দণ্ড প্রদান করা হয় বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।