
বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শুনানী শেষে বিএনপি’র এই সিনিয়র নেতা মনজুর এলাহীর জামিন মঞ্জুর করেন। নরসিংদী জেলা বিএনপির এই নেতার গ্রাউন্ডে গায়েবী মামলা সহ অধিক মামলা থাকায় জামিনে ছাড়া পেতে দেরী হয়েছে বলে জানা যায়। তবে পরের দিন শুক্রবার (১৮ জানুয়ারী) শেষ বিকেলে ৮৮দিন কারাভোগ করে জেলা কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পেলেন নরসিংদী জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব জনতার প্রিয় মানুষ মনজুর এলাহী।
শুক্রবার দিন জেলা কারাগারের সামনে বিএনপি’র এই নেতাকে দেখার জন্য বিএনপি’র তৃণমূলের কর্মীসমর্থক ও হাজার হাজার উৎসুক জনতা জেল গেইটের সামনে ভীড় জমায় এবং শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয় জেল গেইটের চারিপাশ। এসময় জেল গেইটের আশে-পাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন লক্ষ্য করা যায়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে নরসিংদী সদরের চিনিশপুর মহল্লায় নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে, প্রস্তুতি চলাকালে নরসিংদী সদরের চিনিশপুর মহল্লায় পুলিশ গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অভিযান চালালে পুলিশের অভিযানে জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন পুলিশকে বাধা দিলে তাকে সহ ৪জনকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তীতে নরসিংদী মডেল থানায় ৪২জনের বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়, সেই মামলার আসামী হিসেবে নাশকতা সৃষ্টি ও বিস্ফোরক আইনে ঢাকার উত্তরা থেকে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র সরকার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহীকে গ্রেফতার করে নরসিংদী জেলা কারাগারে পাঠান।
নরসিংদী শিবপুর-৩ আসন নির্বাচনী এলাকায় জেলা বিএনপি’র এই নেতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মনোনয়ন সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে শিবপুরে তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল রাজনীতিতে ব্যাপক জনসমর্থন গড়ে তোলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ এর আগে তাকে জেল হাজতে কারাভোগ করতে হয়েছে।
মনজুর এলাহী, নরসিংদী সদর সহ শিবপুর গণমানুষের আস্থাও ভরসাস্থল হয়ে সকলেরই প্রিয় মানুষ হয়ে ওঠেন। মনজুর এলাহীর এই গ্রেফতার রাজনৈতিক ইশারায় হয়েছে বলে বিএনপি নেতাকর্মীরা দাবী করেন।