
একদলীয় আওয়ামী শাসন দেশকে সংঘাত ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টির নেতারা।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন ও সংসদ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে দলটি। এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় একাত্তর চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, হাদিউজ্জামান খোকন, মাসুদ জমাদ্দার রানা, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, নজরুল ইসলাম, আমেনা বেগম, ফেরদৌসী আক্তার অপি, মশিউর রহমান মিলু, শরণ চৌধুরী, রিপন মাহমুদ, পল্টন থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক বলেন, অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লাগাতার কর্মসূচি চলছে। যতদিন মানুষ ভোট দিতে পারবে না, তার অধিকার পাবে না ততদিন আমাদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে। সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দেশে একদলীয় শাসন পরিপূর্ণ রূপে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচন করানো হয়েছে। সারা পৃথিবী যখন আরও বেশি মানবিক ও গণতান্ত্রিক হওয়ার জন্য উন্নত জবাবদিহিতামূলক পথ খুঁজছে, আওয়ামী লীগ তখন আমাদের আদিম যুগে নিয়ে যাচ্ছে ।
মিছিলের শুরুতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, সরকার এতটাই হীনমন্যতায় আছে, আজ তাদের পাকিস্তানের স্বীকৃতিও বেচতে হচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, পৃথিবীর যে কেউই স্বীকৃতি দিক না কেন, বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগের এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। কাজেই এই নির্বাচনের বৈধতা পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা এই নির্বাচন, এই অবৈধ সংসদ কখনো মেনে নেব না।