একটিতে জামিন পেলেন ফখরুল, দুটিতে আমীর খসরু

বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ কেন্দ্র করে নাশকতার অভিযোগে পল্টন থানার একটি মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দুটি মামলায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জামিন পেয়েছেন।

এর মধ্য দিয়ে ওই ঘটনায় মির্জা ফখরুল তার বিরুদ্ধে করা ১১ মামলার ১০টিতে জামিন পেলেন। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া, কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

এই ঘটনার পর গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে, গত ২ নভেম্বর রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় তার ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর মামলাটিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখনোসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার। পরবর্তী সময়ে গত ১৮ ডিসেম্বর আসামিদের উপস্থিতিতে এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পাশাপাশি রিমান্ড নামঞ্জুর করে দুইদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত।

Recommended For You