দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে মাত্র এক সপ্তাহ। এরই মধ্যে আদলতে নিজের আইন পেশাজীবিদের চিরচেনা পোশাকে কোর্টে ফিরেছেন কুড়িগ্রাম ৪ আসন (চিলমারী,রৌমারী, রাজিবপুর) এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ তরুণ নেতা অ্যাড.বিপ্লব হাসান পলাশ।
এবারের নির্বাচনে কুড়িগ্রাম ৪ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন অ্যাড.বিপ্লব হাসান পলাশ। এ আসনের সাবেক নৌকার মাঝি সদ্য বিদায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তাকে হটিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান অ্যাড.বিপ্লব হাসান পলাশ। ২০২৪ সালে চ্যালেঞ্জের এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে দলের আস্থার প্রতিদান দেন তরুণ এ রাজনীতিবিদ। নির্বাচনে জিতেই এলাকার নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেই তিনি কোর্টে ফিরেছেন। (রোববার) এবং সোমবার তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের ৩০২৫ নম্বর চেম্বারে অফিস করেন। আদালতে বেশ কিছু মামলার শুনানিতেও উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাড.বিপ্লব হাসান পলাশ বলেন, এটা আমার পেশা। আমার আয়ের বড় অংশই আসে এখান থেকে। তার চেয়েও বড় কথা এটাও মানুষকে সেবা দেওয়ার বড় মাধ্যম। যারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন তাদের পাশেও আমাকে দাঁড়াতে হবে, তেমনি আমাকে বাঁচতেও হবে। দুর্নীতি করে টাকা কামিয়ে পকেট বড় করা আমার লক্ষ্য নয়। আমি যেমন মানুষ ছিলাম, ঠিক তেমনি আছি। শুধু মানুষ ভোট দিয়ে জয়ী করে আমার একটি দায়িত্ব বাড়িয়ে দিছে। এছাড়া আর কিছু নয়। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় সে দায়িত্বও আমি ভালোভাবে পালন করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, মানুষ নৌকাকে ভোট দিয়েছে, প্রধানমন্তী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়েছে। নৌকার কাছে এদেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা । আমি কুড়িগ্রাম-৪ আসনের নৌকার একজন প্রতিনিধি। তাই আমার বড় দায়িত্ব এখন আগে তাদের প্রত্যাশা পূরণ করা। সে দায়িত্ব ঠিক রেখেই আমি অন্য কাজ করবো।
এত দ্রুতই আদালতে ফেরার খবরে অনেকেই বিস্মিত হলেও অবাক হননি তার সহকর্মীরা। সহকর্মীরা জানান, পলাশ ভাই এমনই মানুষ। তিনি খুবই দায়িত্বশীল এবং কর্মনিষ্ঠ। তার কাঁধে এখন বড় একটি দায়িত্ব। আমাদের বিশ্বাস তিনি দুদিকই খুব নিষ্ঠার সাথে সামাল দিতে পারবেন।