পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ থাকার পরেও চট্টগ্রামে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে চালের দাম। পাইকারি বাজারে প্রতিমণে বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরবেলা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) উমর ফারুক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত নগরীর পাহাড়তলী বাজারে চালের আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত করেন। এসময় ০১ টি আড়তের মালিককে লাইসেন্স প্রদর্শন করতে না পারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও পাশাপাশি একাধিক আড়তদারকে মজুদের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়।
চালের বাজার অস্থির করার ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে চালকল মালিক (মিলার) ও আড়তদারদের দিকে। মিলার ও আড়তদাররা বাজারে ধীরে ধীরে চাল ছাড়ছেন। চাহিদার চেয়ে জোগান কম হওয়ায় কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে, এতে বাড়ছে চালের দাম।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা আজকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি। আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ব্যবসায়ী ছাড়াও অনেকেই ট্রেড লাইসেন্স বা লাইসেন্স ছাড়া ধান-চাল মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করছেন। এসব ব্যবসায়ীদের ধান-চাল মজুতকারীদের বিরুদ্ধে নজরদারীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, মিলার ও আড়তদাররা যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরী করতে না পারে সে ব্যাপারে নজর দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি চাল উৎপাদনশীল অঞ্চলগুলোতে চাল মজুদ এবং অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বেনামে চাল মজুদের ব্যাপারও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে। এছাড়াও সারাদেশে চালের কৃত্রিম সংকট মোকাবেলায় সম্বনয় সাধন চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হবে।