কানাডার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারের উদ্যোগ

বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে একসঙ্গে কাজ করবে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অব কমার্স (সিএইচসিসি)। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক নেটওয়ার্কিং ডিনারে দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতারা এ বিষয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন। কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অব কমার্সের (সিএইচসিসি) সভাপতি ও প্রতিনিধিদলের নেতা নরেশ কুমার নারায়ণ ভাই চাভদা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বিদ্যমান। এফবিসিসিআইয়ের মতো কানাডায়ও আমাদের অসংখ্য সদস্য রয়েছে, যারা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে এফবিসিসিআই এবং সিএইচসিসি উভয়ই এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের ব্যবসায়ী নেতাদের কানাডা সফরের আমন্ত্রণ জানান সিএইচসিসি সভাপতি নরেশ কুমার নারায়ণ ভাই চাভদা

এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডিয়ান বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহায়তা দেবে এফবিসিসিআই। বাংলাদেশে সফররত কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বারের ব্যবসায়ীদের  মধ্যে একটি বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) সভাও অনুষ্ঠিত হয়। কানাডিয়ান ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহসভাপতি মো. খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, মো. মুনির হোসেন, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকবৃন্দ।

মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য কর অব্যাহতি, ওয়ান স্টপ পরিষেবাসহ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। তিনি কানাডার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, তৈরি পোশাক খাত, পাট ও পাটজাত পণ্য, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল, পর্যটনসহ আরও কিছু খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন:

Recommended For You