ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের বির্তকিত কর্মকান্ডের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন তাকে তলব করেছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগে তাকে তলব করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ব্যাক্তিগতভাবে হাজির হয়ে নির্বাচন কমিশনে তার কর্মের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়,জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন ফরিদুল হক খান দুলাল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদুল হক খান দুলাল ৭০ হাজার ৭৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তিনি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন ভোট কের্ন্দের গোপন বুথে না গিয়ে নিজের ভোট প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারেন। ইসলামপুর উপজেলার পলাবান্ধা ইউনিয়নের সিরাজাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ওই ঘটনা ঘটে। বিষযটি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশন তার বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ আনেন। তলবী বার্তায় নির্বাচন কমিশন জানান “প্রকাশ্যে ভোট দান করে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধে আপনার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে বিষয়ে ১৫ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় নির্বাচন ভবনে ব্যাক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে ইসি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যথা সময়ে ইসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।”
এব্যাপারে জামালপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, ফরিদুল হক খানকে তলবের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠি পেয়েছি। বিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ফরিদুল হক খান ১০ জানুয়ারি এমপি হিসেবে এবং ১১ জানুয়ারি ধর্মমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহন করেন। শপথ গ্রহনের পরেই তাকে তলব করেন নির্বাচন কমিশন।
