র্যাব-৭ চট্টগ্রাম সুত্রে জানা যায়, মামলার বাদী আবুল বশর এবং আসামি মোঃ ফারুক সম্পর্কে প্রতিবেশী হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মধ্যে বাড়ীর সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ২১ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখ বাদীর পরিবার বাড়ীর সীমানায় বাশেঁর বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু করিলে আসামি মোঃ ফারুক এবং তার অন্যান্য সহযোগী আসামিরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে দেশী অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করিলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে আসামি মোঃ ফারুক এবং তার অন্যান্য সহযোগী আসামিরা মামলার বাদী আবুল বশর এর স্ত্রী এবং তার ভাইয়ের স্ত্রী’কে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় তৈরী রামদা, কিরিচ দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এবং মামালার বাদী ভিকটিমদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানায় ০৫ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতমনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-১২(০৪)২২, ধারা-৪৪৭/৩২৬/ ৪২৭/৩০৭ পেনাল কোড ১৮৬০।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলার ০১নং এজাহার নামীয় পলাতক আসামি মোঃ ফারুক চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ১১ জানুয়ারী ২০২৪ ইং বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ ফারুক (৩৫), পিতা-মোহাম্মদ আলী, সাং-বৈরাগী পাড়া, থানা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার ০১ নং এজাহার নামীয় পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল।
উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ধৃত আসামি মোঃ ফারুক এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ার থানায় ছিনতাই সংক্রান্তে ০১টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।