উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। তবে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে এ পরিস্থিতি আরো কয়েকদিন থাকতে পারে।
জানা গেছে, টানা পাঁচ দিন ধরে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা নেই। দিনে-রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝড়তে থাকে শীত। এর মধ্যে মৃদু বেগে ঠাণ্ডা হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
উলিপুর উপজলার হাতিয়া ইউনিয়নের এলাকার আজিজ মিয়া (৫০) বলেন, ‘ঠাণ্ডাত বাঁচি না বাবা, কয়দিন থাকি সূর্যের দেখা নাই।জারের কাপড় না থাকায় আগুন তপে দিন কাটবার নাকছি।’চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ী হাট এলাকার জয়নাল হক বলেন, কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। ঘর থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। বাতাসের কারণে ঠান্ডা বেশি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শনিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডা আরো কয়েকদিন চলতে পারে।