
আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর। আর এবারের আসরটিকে বিশ্বমানের করে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এজন্য কদিন আগেই একটি সার্কুলারও দিয়েছে ভালো মানের প্রোডাকশন হাউজ পাওয়ার প্রত্যাশায়। বিশেষ করে ৩৪ থেকে ৩৬টি ক্যামেরা থাকা বাধ্যতামূলক করেছে বিসিবি। এছাড়া সবশেষ আসরটিতে যে ডিআরএস নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল, এবার সেটিও শুরু থেকে রাখছে আয়োজকেরা।
এদিকে বিপিএল দিয়ে মাঠে ফিরবেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে জাতীয় দলের হয়ে কবে ফিরবেন, তা নিয়ে চলছে নাটকীয়তা। আদৌয় ফিরবেন কি না, সেইটাও পরিষ্কার নয়। সবকিছু নির্ভর করছে বোর্ডের সঙ্গে পরবর্তী আলোচনার ওপর। তবে তা যাই হোক, বিপিএলে ঐ বিষয়ের কোনো প্রভাব ফেলবে না। উলটো দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরার পর তামিম ক্যামন খেলবে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন প্রধান নির্বাচক। বলেন, ‘সে তো আমাদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। সব সময়ই তো তাকে খেলতে দেখতে চাইব। ও খেললে তো অনেক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছেন, যাদের অনেক কিছু শেখার আছে, অনেক কিছু দেখার আছে। ইনজুরি কাটিয়ে এখন খেলবে, এটা দেখার অপেক্ষায় আছি, কেমন খেলবে।’
শুধু তাই নয়, ব্যাটিং বান্ধব উইকেট করতেও কাজ করছে কমিটি। সবকিছু মিলিয়ে এবারের আসরটিতে কোনো রকম বিতর্ক রাখতে চাইছে না কর্তৃপক্ষ। আর এ বিষয়ে বেশ আশাবাদীও টাইগার প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। গতকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নান্নু বলেন, ‘আশা তো করছি। একটা টুর্নামেন্ট চলতে গেলে তো অনেক কিছুই দেখতে হয়। এ বছর সব প্রস্তুতি নিয়েই শুরু হচ্ছে। আশা করছি ভালোমতোই শেষ হবে।’
এ সময় আসর নিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিতর্ক ক্রিকেটারদের মধ্যেও প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন তিনি। তবে নান্নু বলেছেন ক্রিকেটারদের বাইরের ব্যাপারগুলোতে নজর না দিয়ে মাঠের পারফরম্যান্সে মনোযোগী হতে। ক্রিকেটারদের দায়িত্বটা কী, সেটিও মনে করিয়ে দিলেন প্রধান নির্বাচক। ‘খেলোয়াড়দের প্রথম কাজ হলো ক্রিকেট খেলা এবং পারফরম্যান্সটা ধরে রাখা। যে যেখানে সুযোগ পাবে, নিজের পারফরম্যান্সটা দিতে হবে এবং সেরাটা খেলতে হবে। এটা হচ্ছে ওদের দায়িত্ব। কোথায় কী হচ্ছে—এসব নিয়ে চিন্তা করা ওদের দায়িত্ব না। প্লেয়াররা যখনই মাঠে যাবে, তখনই তাদের সেরাটা দিয়ে খেলতে হবে, এটাই হচ্ছে তাদের দায়িত্ব।’
সুত্রঃ ইত্তেফাক