ফেনীর পরশুরামে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা গ্রেপ্তার

 ফেনীর পরশুরামে কিশোরী কণ্যার সঙ্গে বর্বরতার অভিযোগে মোঃ ইসমাইল হোসেন (৪২) নামে এক  পিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 
বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঐ নরপিশাচ  পিতাকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতিত মেয়েটিকে উদ্ধার করে শারিরীক পরিক্ষার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইল পরশুরাম পৌরসভার  বাউর পাথর উত্তর পাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। সে একজন একটি কোম্পানির সাব-ডিলার  নিয়ে ব্যবসা করতেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে বুধবার (১০জানুয়ারি) ভোর রাতে নিজ কক্ষে ঘুমন্ত ওই  জোর পূর্বক  ধর্ষণের চেষ্টা করে তাঁর পিতা। এসময় কিশোরীর চিৎকার শুনে তাঁর মা মোমেনা আক্তার মেয়ের কক্ষে গিয়ে দেখেন সে কান্নাকাটি করছে। কারণ জিজ্ঞাসা করলে মায়ের নিকট  ঘটনার বর্ননা দেন মেয়ে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এর আগেও মেয়েটি পিতা মোঃ ইসমাইল হোসেন গত (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে জোরপুর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ঐ  ঘটনার সময় কিশোরীর মা তাঁর পিতার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।
ভোক্তভোগী কিশোরীর মা মোমেনা আক্তার বলেন, আমার মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। স্বামী একজন দুশ্চরিত্র ও লম্পট প্রকৃতির লোক। আমি বাড়ীতে না থাকলে তাঁর পিতা প্রায় সময় আমার মেয়ের সঙ্গে এ বর্বর আচরণ করেন। লোক লজ্জার ভয়ে আমরা এতদিন কাউকে কিছু বলতে পারি নাই।
এবারও আমি আমার কক্ষে ঘুমিয়ে পড়লে ধর্ষনের উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেয়ের কক্ষে ঢুকে তাকে ঝাপটে ধরে।একপর্যায়ে মেয়েটি ইসমাইলকে ধাক্কা দিয়া তাৎক্ষনিক আমার কক্ষে এসে কান্নাকাটি করতে থাকে। মেয়ের কান্নাকাটির শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠে  জিজ্ঞাসা করলে গত ১১ নভেম্বর রাতের ঘটনা সহ  সে আমাকে বিষয়টি বিস্তারিত জানায়।
এরপর ওই লম্পটকে ঘরের ভিতর আটকে রেখে  স্থানীয় কাউন্সিলর খুরশিদ আলম ও সমাজের সভাপতি মীর আহাম্মদ সহ এলাকার লোকজনকে জানালে তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে মারধর করে থানায় খবর দেয়।পরবর্তীতে ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরশুরাম মডেল থানার ওসি মোঃ শাহাদাত হোসেন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,কণ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতার বিরুদ্ধে নির্যাতিতার মায়ের দায়ের করা মামলায় ওই পাষণ্ডকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শেয়ার করুন:

Recommended For You