ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ডামি নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ করানোর মাধ্যমে সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। বিরোধী দলবিহীন প্রহসনের নির্বাচনের নামে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মারাসহ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অতি স্বল্প সংখ্যক ভোটারের অংশগ্রহণকে দেউলিয়াত্ব প্রকাশ বলে অভিহিত করেন তিনি। এতে সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে খেল-তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতেই মরিয়া হয়ে উঠছে সরকার। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ছিল সরকারের ক্ষমতা নবায়নের জন্যে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন তামাশাপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। একতরফা নির্বাচনে সারাদিনব্যাপী ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটারের চরম অভাব লক্ষ্য করা গেছে। শিশু ভোটার দিয়ে ভোটদান এবং একাধিক ভোট প্রদান সরকার দলের দেউলিয়াত্বের প্রমাণ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, শত ভয়-ভীতি, প্রলোভন ও সরকারের আহ্বান উপেক্ষা করে ভোট প্রদান না করার মাধ্যমে জনগণ এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি সরকারকে তামাশা বাদ দিয়ে জনগণের ভাষা বুঝে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান। নগন্য সংখ্যক ভোটকে কারসাজি করে পার্সেন্ট বাড়িয়ে দলবাজ সিইসি অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নির্লজ্জ দলকানা সিইসি তামাশার নির্বাচন করে ইতিহাসে ঘৃণিত হয়ে থাকবেন।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী রেজাউল করীম আরও বলেন, এই প্রহসনমূলক নির্বাচন দেশকে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী সংকটে ফেলবে। সুতরাং ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ‘ডামি সরকার’ গঠনের পথে না গিয়ে সরকারের পদত্যাগ করাই হবে আশু সংকট সমাধানের একমাত্র পথ। তিনি প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে জাতীয় সরকারের অধীনে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি জানান।