দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৩ টি আসনে, স্বতন্ত্র পেয়েছে ৬১টিতে । এই নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ৭ জানুয়ারি সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ হয়। ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ভোট হয় ২৯৯টি আসনে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনে ভোট গ্রহণ স্থগিত ছিল।
দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম ফল ঘোষণা করেন। ভোররাতে তিনি ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা হয়েছে উল্লেখ করে এই কার্যক্রম শেষ করে দেন। সেই হিসাবে এখন পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২২৩টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীনদের পর সবচেয়ে বেশি জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬১টি আসনে জয় পেয়েছেন। বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। আর অন্যান্য দল জিতেছে তিনটি আসনে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা।
এছাড়া জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক প্রমুখ এবারও জয়ী হয়েছেন। প্রথমবারের মতো নির্বাচনে এসে বিজয়ী হয়েছেন আলোচিত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চলচ্চিত্র তারকা ফেরদৌস আহমেদ।
নির্বাচনে কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এবারের নির্বাচনে অংশ নেয় ২৮টি। আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বেশ কিছু দল নির্বাচনে নেই। ভোটে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সামর্থ্য না থাকায় আগেই পরিষ্কার ছিল, আওয়ামী লীগ বড় জয় পেতে যাচ্ছে।