চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আবারও বিজয়ের হাসি হাসলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন আর চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের ঘাঁটি ধরে রাখলেন নৌকার মাঝি আলী আজগার টগর। তাঁরা দুজনই টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহনের পর গতকাল রবিবার রাত ১১টার দিকে এ ফলাফল ঘোষনা করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন, সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল হোসেন, র্যাব-১২’র কোম্পানী কমান্ডার কিশোর রায়সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রার্থীর প্রতিনিধিরা।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ৯৬ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭৬৮টি ভোট। এছাড়া ফ্রিজ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ রাজ্জাক খান পেয়েছেন ৫৯ হাজার ১৮০ ভোট। ট্রাক প্রতীকের এম শহিদুর রহমান পেয়েছেন ৯৫৮ ভোট, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী অ্যাড. সোহরাব হোসেন পেয়েছেন ৫৭১ ভোট ও ন্যাশনার পিপলস্ পার্টির প্রার্থী আম প্রতীকের ইদ্রিস চৌধুরী পেয়েছেন ৫৪০টি ভোট। এ আসনটিতে মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮০ জন। ১৮১টি কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৭ জন। এর মধ্যে বাতিল ভোটের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৩৪টি।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ভোটযুদ্ধে অংশ নেন ৯ প্রার্থী। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আলী আজগার টগর। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৫৯টি ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হাশেম রেজা পেয়েছেন ৬০ হাজার ৮৩৪ ভোট। এছাড়া ঢেঁকি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লন্টু পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭৫১ ভোট, জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুল লতিফ খান গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ২৭১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নূর হাকিম পেয়েছেন ২ হাজার ৬৫১ ভোট, ফ্রিজ প্রতীকর স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল মল্লিক পেয়েছেন ৮২৯টি ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী রবিউল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৭৮টি ভোট ও জাসদের প্রার্থী দেওয়ান মো. ইয়াছিন উল্লাহ পেয়েছেন ২১১ টি ভোট। এ আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮ জন। ১৭৩টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৩ জন ভোটার। এর মধ্যে বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৭ হাজার ৬৬৯ টি।
বিজয়ের পর তাৎক্ষনিক এক প্রতিক্রিয়ায় বিজয়ী প্রার্থীদ্বয় অভিন্ন ভাষায় বলেন, এ বিজয় গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিজয়। এ বিজয় জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা আর আকাঙ্খার প্রতিফলন। সংশ্লিষ্ট আসনের সকল ভোটারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানিয়ে তারা বলেন, দলের পক্ষ থেকে যেসব প্রতিশ্রতি দেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবো। এ জন্য সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।