রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। ভোটকেন্দ্রে আসবেন, আপনার ভোট অনেক মূল্যবান। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল। কিন্তু দেশের মানুষ তারা তাদের ভোটের অধিকারের বিষয় সচেতন হয়েছে। ভোট দেওয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি। এজন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলেই উন্নতি হয়েছে। আমাদের সামনে আরো কাজ আছে, আমরা সম্পন্ন করতে চাই। আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, কে কি বলল সেটা আমি গুরুত্ব দিই না। বাংলাদেশের জনগণই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি-জামায়াতসহ কয়েকটি দলের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা দেশের কল্যাণ চায় না। তারা গণতান্ত্রিক ধারা চায় না। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। সিলমারা, কারচুরি এটাই তাদের চরিত্র, সেটা করতে পারবে না বলেই তারা নির্বাচনে আসেনি। তাদের হরতাল তাল হারিয়েছে, জনগণ তাদের প্রত্যাখান করেছে।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতা নিয়ে করা প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, ভোট হচ্ছে দেশের মানুষের অধিকার। আমি আশা করছি এই নির্বাচনে নৌকা বিজয়ী হবে। আবারও আমরা সরকার গঠন করব। জনগণের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। এর আগে সকাল ৮টার ৩ মিনিটে রাজধানীর ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানমন্ডি সুধাসদনের ঠিকানায় ভোটার হওয়ায় তিনি এ কেন্দ্রে ভোট দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলও তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।