গতকাল শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের সাবিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে কেরোসিন ঢেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই বিদ্যালয়টি মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর) সংসদীয় আসনের একটি ভোট কেন্দ্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টার দিকে দু’টি মোটরসাইকেলে ৪জন যুবক বিদ্যালয় গেটের বাহিরে অবস্থান নিয়ে স্কুলের ভিতরে প্লাস্টিকের বোতলে কেরোসিন ছুড়ে স্কুলের দরজায় মারে। এসময় দরজায় আগুন লাগলে এলাকাবাসী দ্রুত এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। বিদ্যাললটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর গাফ্ফার বাবলু জানান, এই স্কুলে নৈশ্য প্রহরী ও গ্রাম পুলিশ পাহারায় ছিল। অগ্নিসংযোগ করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। আগুনে স্কুলটির শিক্ষক মিলনায়তনে কিছু অংশ ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ৩টি কক্ষের সামনের দরজার আংশিক পুড়ে যায়। তবে ঘটনার সময় কেন্দ্রটিতে কোনো পাহারাদার না থাকায় অরক্ষিত অবস্থায় ছিল। মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি কে এম নজরুল বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে কেরোসিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে।
খবর পেয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নাসরিন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অপরদিকে, শুক্রবার একই রাতের ১০টার দিকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সরিষকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১০টার দিকে স্কুলের বাইরে থেকে স্কুলের দরজায় পেট্রোল ছুড়ে মারা হয়। এ সময় দরজা ও জানালায় আগুন লাগার আগে এলাকাবাসী আগুন নিভিয়ে ফেলে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে শতাধিক মানুষ ছুটে আসেন, তারা জানান- এখানে সিসি ক্যামেরা আছে, দেখলে চেনা যাবে কারা এ কাজ করেছে। মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদ আহমেদ তরফদার বলেন, এলাকার লোকজন হঠাৎ আগুন দেখতে পান। পরে তাদের সাথে আমি নিজে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলি। কমলগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আমার বাহিরের সিসি ক্যামেরায় দেখছি। তবে অনেক কুয়াশার কারণে কিছু বুঝা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমাদের তদন্ত চলছে।