নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ভূঁইয়ারহাট বাজারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে নৌকা প্রতীকের গণসংযোগে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু জাফর আবীর, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ফারুক সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারী) সন্ধ্যার পরে উপজেলার ভূঁইয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা অভিযোগ করেন উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন শাহীনের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু অভিযোগ করে বলেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে তারা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে গণসংযোগ করেন বাটইয়া ইউনিয়নের কাচারিহাট বাজারে। একপর্যায়ে সেখানে তাদের বাধা দেয় স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান জসীম উদ্দিন শাহীন। পরে তারা উপজেলার ভূঁইয়ারহাট বাজারে চলে এলে পুনরায় শাহীন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তাদের গণসংযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। একপর্যায়ে গণসংযোগে হামলা চালানো হয়। এ সময় তাদের তিনটি মাইক্রোবাসে ভাংচুর চালানো হয়। নাবিল নামে এক ছাত্রলীগ নেতা একটি মোটরসাইকেল সহ নিখোঁজ রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, তারা নৌকা প্রতীকের গণসংযোগ করছে না। তারা উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণা চালাচ্ছে। কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জহিরুল হক রায়হান বলেন, শুনেছি আমাদের দলের কিছু নেতাকর্মী কাদের ভাইয়ের পক্ষে গণসংযোগে যায়। ওই গণসংযোগে পথ সভার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এটা দলের অভ্যন্তরীণ কারনে হতে পারে। বিষয়টি দলীয় ভাবে নেতাকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, তিনি আসলে এটা নিয়ে কথা বলবেন।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।