ফেনী-৩ আসনের লাঙ্গল প্রতীকের জন্য ভোট ভিক্ষা চাইলেন ফেনী-২ আসনের বর্তমান এমপি ও ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।
সোমবার বিকালে সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঐ সময় তিনি আরো বলেন, সোনাগাজী-দাগনভূঁঞা ফেনী-৩ আসনে ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন হাজী রহিম উল্যাহ। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থক নিয়ে আমরা নির্বাচিত করেছিলাম। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন এবং তিনি আমাদের সোনাগাজী উপজেলা আ’লীগের অফিসে প্রকাশ্যে গুলি করে বহু কর্মীকে হতাহত করেছেন। আজও গুলির চিহ্ন আওয়ামীলীগ অফিসে বিদ্যমান। আজ তিনি আবারো স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন এবং আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন।
এবার তিনি নির্বাচিত হলে ফেনী-০৩ আসনে আওয়ামীলীগ নিচ্ছিন্ন করে ফেলবেন। তাই আমি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েও সোনাগাজী ও দাগনভূঁঞা উপজেলায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে ভোট ভিক্ষা চাইছি। আমি অনুরোধ করব সোনাগাজী -দাগনভূঁঞা উপজেলা আ’লীগের নেতাকর্মী , অঙ্গসংগঠনসহ সকল কে নাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য উদ্যাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
আপনারা জানেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী তিনি ২০১৮ সালে এ আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত উনার কারণে সোনাগাজী-দাগনভূঁঞা উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার কোথাও অবণতি ঘটে নাই। সাধারণ মানুষ নির্বিঘে ঘরের দরজা খুলে ঘুমাইতে পারতেছে। এমন কি অহেতুক বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলায় উৎসাহিত করেন নাই। কাজেই আমি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকের জন্য আ’লীগ সহ সর্বস্তরের জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা চাচ্ছি।
উক্ত কর্মী সমাবেশে সোনাগাজী উপজেলা আ’লীগের সভাপতি প্রফেসর মফিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপ্টন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল আনাম, সোনাগাজী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. রফিকুল ইসলাম খোকন সহ জেলা , উপজেলা , ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।