পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপান একদিনে প্রায় ১৫৫ বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি )ও অনুভূত হয়েছে ভূ-কম্পন। জাপানের মিটিওরোলিজক্যাল এজেন্সি (জেএমএ) জানিয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬ এবং অপর একটি ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬। এ ঘটনায় ১৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। তথ্যমতে, বছরের প্রথম দিন আঘাত হানা বেশির ভাগ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ এর বেশি। ভূমিকম্পগুলো মাঝারি মাত্রার হলেও মঙ্গলবার ভোরেও দেশটিতে ছয়টি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর দেশটির উপকূলীয় ইশিকাওয়া অঞ্চলে ‘বড় ধরনের সুনামি সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। পরে অবশ্য তা ‘সুনামি সতর্কতায়’ নামিয়ে আনে দেশটির আবহাওয়া অফিস। তবে কর্মকর্তারা এখনও সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছেন। জাপান সাগরের উপকূলীয় কয়েক শ’ কিলোমিটার এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে উঁচু এলাকায় নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ভবন ধসে মানুষ চাপা পড়ার অন্তত ছয়টি ঘটনা জানা গেছে। ভূমিকম্পের পর বড় ধরনের একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে ইশিকাওয়া অঞ্চলে। এরই মধ্যে রাজধানী টোকিওর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলটি।
ইশিকাওয়া অঞ্চলের ওয়াজিমা শহরের ফায়ার সার্ভিস জানায়, তারা ভূমিকম্পে অন্তত ৩০টি ভবন ধসে পড়ার খবর পেয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও আসছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উঁচু যে ঢেউ এসেছে, তার উচ্চতা এক মিটারের বেশি। তাদের হিসেবে মাত্র ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে ৫০টির মতো ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।