৫ বছর পর সৌম্য’র সেঞ্চুরি

প্রথম ম্যাচে কোনও রান না করেই ফিরেছিলেন। তার ফর্ম নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। নেলসনে সেই সৌম্যই পথ দেখালেন বাংলাদেশকে। স্রোতের বিপরীতে একা লড়াই করে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। শতকে যেতে তার লেগেছে ১১৫ বল। ২০১৮ সালের পর ওয়ানডেতে এটাই তার প্রথম তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংস। সেই হিসেবে আরেকটি সেঞ্চুরি পেতে সৌম্যকে অপেক্ষা করতে হয়েছে পাঁচটি বছর।

এর মধ্যে একবার ক্যাচ দিয়ে জীবন পেয়েছেন। একবার রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন। কভারে তার ক্যাচ ছাড়েন রাচীন রাবীন্দ্র। ওই ওভারে তার এলবিডব্লিউর আবদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। নার্ভাস নাইন্টিজে গিয়ে দ্বিতীয়বারের মত জীবন পান সৌম্য। পেসার উইল ও’রউকের বলে উড়িয়ে মেরেছিলেন, তবে উইল ইয়াং সেটিকে তালুবন্দি না করলে বেঁচে যান সৌম্য।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে স্বীকৃত ক্রিকেটে সর্বশেষ শতকের দেখা পেয়েছিলেন সৌম্য। এবার জাতীয় দলে এসেছেন বিস্ময় জাগিয়েই, তবে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে একাধিক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে ভরসা রাখা হয় তাঁর ওপর। প্রথম ম্যাচে ০ রানে ফিরলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টিম ম্যানেজমেন্টের সে আস্থার প্রতিদান দিলেন সৌম্য। নিউজিল‍্যান্ডে বাংলাদেশের চতুর্থ ব‍্যাটসম‍্যান হিসেবে সেঞ্চুরির খাতায় নাম লেখালেন তিনি।

এর আগে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। পঞ্চম ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন অ্যাডাম মিলনে। তার বলে লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২ রান করা বিজয়, দলের রান তখন ১১। ৮ম ওভারে শান্তকে ফেরান জ্যাকব ডাফি। ৬ রান করে শান্ত ফিরেন নিকোলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর জ্যাকব ডাফির অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইল ইয়ংয়ের হাতে ক্যাচ দেন লিটন। ফেরার আগে মাত্র ৬ রান করে যান তিনি। দুর্ভাগ্যের শিকার তাওহিদ হৃদয়ও। ব্যক্তিগত ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপদে তখন সৌম্যের সঙ্গে হাল ধরেন মুশফিক। জুটির পঞ্চাশ গড়ে দুজনেই এগিয়ে যাচ্ছেলিন সেঞ্চুরি জুটি গড়তে। কিন্তু দলীয় ১৭১ রানে মুশফিকের আউটে ভেঙে যায় সৌম্যের সঙ্গে তার ৯১ রানের জুটি। জ্যাকব ডাফির বলে টম ব্লান্ডেলের গ্লাভসে জমা হওয়ার আগে ৫৭ বলে পাঁচ চারে ৪৫ রান করেন মুশফিক।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।

শেয়ার করুন:

Recommended For You