‘অসত্য’ প্রতিবেদন করায় একাত্তর টিভিকে মুশফিকের আইনি নোটিশ

ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিকুর রহিম। আর এতে তার বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ে অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর। এই প্রতিবেদনকে ‘অসত্য’ ও ‘মনগড়া’ দাবি করে এই টাইগার ব্যাটসম্যানের পক্ষে আইনজীবি শিহাব উদ্দিন খান আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন গণমাধ্যমটিকে। সুনামহানি হওয়ায় ৭১ টেলিভিশনের হেড অব নিউজ, ক্রীড়া সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের কাছে কিছু বিষয়ের নিষ্পত্তি চেয়ে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, এই প্রতিবেদনের কারণে পারিবারিক, সামাজিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে মুশফিকের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি এই বিকৃত তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদনের কারণে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত সময় পার করেছেন।

নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কিছু বিষয়ে নিষ্পত্তি চাওয়া হয়েছে। একাত্তর টেলিভিশনকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাদের মনগড়া, ভুল প্রতিবেদনের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে ভবিষ্যতে অসত্য ও মনগড়া ভুল প্রতিবেদন না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে মর্মে, মুশফিকের নিকট লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে ৭১ টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

ফেসবুক, ইউটিউবসহ সকল সামাজিক মাধ্যম থেকে প্রতিবেদনটি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

নোটিওশ বলা হয়, প্রতিবেদনটি সাংবাদিকতার নীতি-আদর্শ মেনে করা হয়নি। পাশাপাশি একাত্তর টিভির মতো চ্যানেলে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ অপ্রত্যাশিত। প্রতিবেদনটি দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ এর ২৫(১)(ক), ২৫(২) এবং ২৯ ধারায় সাইবার বুলিং এর অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয় নোটিশে। প্রতিকার না পেলে ফৌজদারি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য দেওয়ানী আদালতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, হাত দিয়ে বল ফিরিয়ে এমন আউট হওয়া বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান মুশফিক। ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে ৮০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ খেলা অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এমন আউটের পর তীব্র সমালোচনা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমেও ট্রলের শিকার হয়েছেন তিনি।

তবে মুশফিকের আউটের ধরন নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলটি ‘মিরপুর টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধ, সন্দেহ সিনিয়র ক্রিকেটারের দিকে’- শিরোনামে একটি প্রতিবেদন নিজেদের ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে ফিক্সিংয়ের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়, জানানো হয় বিষয়টি বিসিবি ও আইসিসিও তদন্ত করতে পারে।

শেয়ার করুন:

Recommended For You