অজুহাত দিয়ে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা মেনে নেয়া হবে না : খাদ্যমন্ত্রী

চালের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। নতুন ধান বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ধানের দামও এখন কম। এ অবস্থায় চালের দাম বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ খাদ্যে-শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। চলতি মৌসুমে আমনের ফলনও ভালো হয়েছে।  দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাদ্য মজুদ আছে।  চালের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে প্রসাশন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে। অজুহাত দিয়ে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা মেনে নেয়া হবে না।

মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কোয়ালিটির মানদন্ডে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সাথে কোন আপস হবে না। এ সময় তিনি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ধান চাল সংগ্রহের পরামর্শ দেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক যেন গুদামে ধান নিয়ে এসে হয়রানির শিকার না হয় সেটা খাদ্য কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে। ফুডগ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেন ধান চালের অবৈধ ব্যবসা করতে না পারে সেদিকে প্রসাশনের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দেন তিনি । একই সাথে তিনি পাক্ষিক মজুত বিক্রির রিপোর্ট প্রেরণের নির্দেশনা দেন।

এর আগে, গত ৮ অক্টোবর খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় চলতি বছর আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি আমন ধান ৩০ টাকা, প্রতি কেজি আমন সেদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং আমন আতপ চালের দাম ৪৩ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়।

এ বছর আমন মৌসুমে দুই লাখ টন আমন ধান, চার লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং এক লাখ টন আতপ চাল কেনা হবে। সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ইসমাইল হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক (সংগ্রহ) মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রসাশক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মিল মালিকগণ, কৃষক প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীগণ সংযুক্ত ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Recommended For You