জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে কঠোর কর্মসূচি : চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) দেশের সঙ্কটপূর্ণ মুহূর্তে প্রেসিডেন্টকে দায়িত্বশীল ভুমিকা নিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের বন্দোবস্ত করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দেশের জন্য অনিবার্য হয়ে উঠছে। তিনি বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে আটককৃত সকল রাজবন্দি ও আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

চরমোনাই পীর বলেন, শত বাধা বিপত্তি, হুমকি-ধমকি সত্বেও মহাসমাবেশ মহাসমুদ্রে পরিণত করায় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক মুবারকবাদ জানান।

তিনি বলেন, দেশের সংঘাতপূর্ণ সময়েও সীমাহীন ত্যাগ তিতিক্ষার কারণে নেতাকর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসলামী আন্দোলন দেশ, ইসলাম ও জনগণের যে কোন ন্যায্য দাবিতে মাঠে সরব ভূমিকা পালন করে আসছে। দাবি আদায়ে যে কোন ত্যাগ-কুরবানী, এমনকি জীবন ও রক্ত দিতেও দ্বিধা করবে না। জুলুম, নির্যাতন, হামলা-মামলা করে ন্যায়ের পথের এ পথিকদেররক দমিয়ে রাখা যাবে না। ন্যায় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু হয়েছে। আন্দোলন কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

১০ নভেম্বর-এর মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করে এবং জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সকল নিবন্ধিত এবং প্রতিনিধিত্বশীল আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবি জানান চরমোনাই পীর। বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারণে কারারুদ্ধ বিএনপিসহ সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করারও আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, সরকার এসব দাবি মেনে না নিলে আন্দোলনরত সকল বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে কঠোর ও বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবো। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ বিরোধী দল সমূহের সকল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর প্রতি সমর্থনও ঘোষণা করেন চরমোনাই পীর।

শুক্রবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত মহসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল ও মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি হযরত আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, নায়েবে আমীর মুহাদ্দিস আব্দুল হক আজাদ ও মাওলানা আব্দুল আঊয়াল পীর সাহেব খুলনা, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, উপদেষ্টা মাওলানা খালিদ সাইফুল্ল্নাহ, আল্লামা ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক ও অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আক্কাস আলী সরকার, মাওলানা আবদুল কাদের, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সভাপতি মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, যুগ্ন মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতী এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, জান্নাতুল ইসলাম, মুহাম্মদ আব্দুর রহমান, অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন, শেখ ফজলুল করীশ মারূফ, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলনা নুরুল ইসলাম আল-আমিন, মাওলানা শোয়াইব হোসেন, জিএম রুহুল আমীন, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বরকত উল্লাহ লতিফ, নুরুল করীম আকরাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী রেজাউল করীম আবরার, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।

মহাসমাবেশ পরিচালনা করেন প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অধ্যাপক সৈয়ধ বেলায়েত হোসেন ও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ, ইসলামী আইনজীবী পরিষদ ও ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

বাদ জুমু’আ মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টার মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে সমাবেশ স্থল। বেলা ১০টায় জাতীয় মহাসমাবেশ শুরু হয়ে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ-এর খুৎবা দান ও ইমামতিতে জুমু’আর অনুষ্ঠিত হয়।

চরমোনাই পীর বলেন, সরকারের পতন ত্বরান্বিত করে একটি দেশপ্রেমিক ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে। দেশ আজ প্রায় যুদ্ধাবস্থায় নিপতিত। কেবলমাত্র একজন ব্যক্তি, একটা দলের সীমাহীন ক্ষমতালিপ্সার কারণে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, শান্তি, শৃংখলা, অর্থনীতি সবকিছুই আজ হুমকির মুখে। স্বাধীনতার প্রধানতম চাওয়া একমুঠো খাবার; তাও আজ মানুষের জন্য দুর্লভ হয়ে উঠেছে।

দ্রব্যমূল্যর উর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে চরমোনাই পীর বলেন, দেশে কোনে কোনো মাসে মূল্যস্ফীতি ১৬-১৭ শতাংশ পর্যন্ত হয়। খরচ সামলাতে না পেরে খাদ্য তালিকা থেকে মাস-গোস্ত-ডিম-দুধ বাদ দিতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বর্তমানে আলুর কেজিও ৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ডিমের হালি কিনতে হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। বাজারে গিয়ে অনেককে খালি হাতে ফিরতে দেখা যায়। দুর্নীতির করালগ্রাসে দেশ নিমজ্জিত। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। বিগত ১৫বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে অন্তত ১১ লাখ কোটি টাকা। ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ এখন বেড়ে এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। অথচ এই সরকার যখন দায়িত্ব নেয় তখন খেলাফি ঋণ ছিলো মাত্র ২২ হাজার ৪৮১ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে খামখেয়ালিপনার বলি বানানো হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম, নৈতিকতা বাদ দেয়া হয়েছে। দেশের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। ইসলামকে হেয় করা হয়েছে। শারীরিক শিক্ষার নামে নোংরামী শেখানো হচ্ছে বাচ্চাদের। হিন্দুয়ানী ও ভিনদেশি আদলে শিক্ষাব্যবস্থাকে সাজিয়ে সর্বনাশ করা হয়েছে। শিক্ষকদের বেতন, সম্মান বাড়ানো কোন ব্যবস্থা করা হয় নাই। গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো হয় নাই। তিনি বলেন, এই সোহরাওয়ার্দী ময়দান থেকেই ভাট ও ভোটের অধিকারের জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়। প্রয়োজনে এই ময়দান থেকেই সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে।

চরমোনাই পীর বলেন, সরকার স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে দেশবাসীকে শোষণ করছে। অথচ স্বাধীন কি আওয়ামী লীগ একা করেছে? স্বাধীন করতে অনেক শিশু এতিম, অনেক মহিলা বিধবা, অনেককে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ক্ষমতায় থাকতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতার মজা পেয়ে গেছে। গোটা দেশের মানুষ জেলখানায় আবদ্ধ। এদেশের মানুষের স্বাধীনতা নাই। এই জেলের তালা ভাঙতে হবে। কোন ছলচাতুরি চলবে না। আমরা কারও বিরুদ্ধে নই। এই আন্দোলন যারা ভোট দিতে চায় তাদের জন্য। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিরেপেক্ষ নির্বাচন না হওয়ায় বিদেশি শক্তি নাক গলাচ্ছে। আপনি ব্যাকডোর দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করলে আমরা লড়াই করবো।

চরমোনাই পীর আরও বলেন, বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিরোধী দল ২৮ অক্টোবর সমাবেশ করলে তাদের উপর জুলুম নির্যাতন করা হয়। দমন পীড়ন চালিয়ে, গ্রেফতার করে, মানুষ হত্যা করে ইতহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করছে সরকার। বছরের পর বছর আলেমদের কারাবন্দি করে রাখা হয়। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশ ও জনগণের কল্যাণ চাইলে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা নির্বাচনের সুযোগ দেশবাসী আর কাউকে দিবে না। তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যে কোন ত্যাগ তিতিক্ষা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে চরমোনাই পীর বলেন, গাজায় যে বর্বরতা চালানো হয়েছে তার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা আমাদের নাই। ইহুদীরা একটি অভিশপ্ত জাতি। তাদের পাপের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। তারা নবীদেরকেও হত্যা করেছে। অতএব মধ্যপ্রাচ্য থেকে অবৈধ রাষ্ট্র ইজরাইলের অবসানই একমাত্র সমাধান। জায়নবাদী ইজরাইলের ধ্বংসই একমাত্র সমাধান।

প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাদানী বলেন, সর্বত্র একটি আওয়াজ একদফা-এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি। বর্তমান সরকারকে এক মুহূর্তও দেশবাসী দেখতে চায় না। কাজেই লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের অধীনের নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। তিনি নির্বাচন কমিশনকে দলবাজ কমিশন বলে আখ্যায়িত করে একতরফা নির্বাচনের পথ থেকে ফিরে আসার দাবি জানান।

দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এই দাবি নিয়ে এসেছি। আমরা ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা, সাম্য প্রতিষ্ঠা ও গরিবের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তিনি ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। মার্কিনীদের মদদেই এই হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। সরকার চিকিৎসাসেবা ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার ব্যবস্থার দলীয় করণ চুড়ান্ত করা হয়েছে। বিচারপতিরা রাজনীতিবিদদের মতো করে বক্তব্য দেয়। একজন বিচারপতি নিজেকে “শপথবদ্ধ বিচারপতি” হিসেবে নিজেকে দাবী করেছে। বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা জামিন পায় না অথচ সাগর-রুনি হত্যা মামলার তারিখ পেছানো হয় শতবার। দেশের সকল বিরোধীদল, বুদ্ধিজীবি, শিক্ষাবিদসহ সকল দেশ-বিদেশের বিবেকবান সকলেই বিদ্যমান সরকারের অধিনে নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার ব্যাপারে ঐক্যমতে এসেছে। তারপরেও প্রধানমন্ত্রী গোয়ার গোবিন্দের মতো তার অধিনেই নির্বাচন করার ব্যাপারে অনড় মত প্রকাশ করছেন। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, কোন অবস্থাতেই দেশে শেখ হাসিনার অধিনে কোন নির্বাচন হবে না। অবশ্যই তাকে ও তার মন্ত্রীসভাকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে আন্দোলন আরো কঠোর থেকে কঠোর হবে। পিআর পদ্ধতি নিয়ে আমরা বহুবার বলেছি। আবারো বলছি, দেশকে সংঘাতের হাত থেকে বাচাতে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশের সকল মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পিআর পদ্ধতির প্রচলন করতেই হবে।

দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, মহাসমাবেশে লাখ লাখ মানুষ এসেছে। কাউকে ভাড়া করে আনা হয় নাই। সবাই নিজের পকেটের টাকা খরচ করে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নির্দেশনা পালন করেছে। আগামীতে পীর সাহেবের ঘোষিত যে কোনো কর্মসূচি পালনে জীবন দিতেও প্রস্তুত থাকবে।

দলটির যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, এ সরকারকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। আপনাদের অধীনে নির্বাচন তো দূরের কথা, আপনাদের আর এক মুহূর্তে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যত দ্রুত ক্ষমতা থেকে যাবেন তত দ্রুত দেশের মানুষ মুক্তি পাবে। তিনি বলেন, সরকারবিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেননি। দেশের আইন, বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা পদত্যাগ করেন, বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন।

Recommended For You