সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে জোড়া থেকে পৃথক হওয়া দুই শিশু

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পেটে ও বুকে জোড়া লাগানো থেকে পৃথক হওয়া আবু বকর ও ওমর ফারুক নামের দু’জন শিশু অবশেষে বাড়ি ফিরছে। সকল প্রকার ঝুঁকি থেকে মুক্ত হয়ে দুই শিশু এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় সব চিকিৎসা কার্যক্রম শেষ হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিদায় জানানো হয়।

গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনা এবং অর্থায়নে টুঙ্গিপাড়ার পেটে ও বুকে জোড়া লাগানো চিকিৎসাধীন  আবু বকর ও ওমর ফারুক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারী বিভাগের কেবিন ব্লকের অপারেশন থিয়েটারে সফলভাবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু দু’জনকে আলাদা করে।

জানানো হয়, আবু বকর ও ওমর ফারুকের লিভার ও বুকের হাড় সংযুক্ত ছিল। তবে সকল প্রকার ঝুঁকি মুক্ত হয়ে দু’জনই এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। শিশু দু’জনের মাতা-পিতা এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং শিশুদের ভবিষ্যৎ জীবনের সম্পূর্ণ সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

বিএসএমএমইউ সূত্র জানিয়েছে, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চায়না বেগম এবং স্বামী আল আমিন শেখের ঘরে চলতি বছর ৪ জুলাই বুকে পেটে জোড়া লাগানো দুজন নবজাতক জন্মগ্রহণ করে। জন্মগ্রহণের পর তাদের শরীরের জটিলতা নিরসনের জন্য গত ৫ জুলাই তাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম জাহিদ হোসেনের অধীনে ২০১ নং কেবিনে ভর্তি করা হয়। বুকে পেটে জোড়া লাগানো যমজ এই দুই নবজাতকের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্বভার গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

জটিল এই অপারেশনে শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে শিশু সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কেএম দিদারুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুশংকর কুমার মন্ডল, সহকারী অধ্যাপক ডা. কেএম. সাইফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ডা. নুর মোহাম্মদ, মেডিকেল অফিসার ডা. উম্মে হাবিবা দিলশাদ মুনমুন ছাড়াও বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Recommended For You