
দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীকে উপজীব্য করে সত্যাশ্রয়ী গবেষণালব্ধ নাটক ‘‘অচলায়তনের অপ্সরী’’ এর ৩য় মঞ্চায়ন হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭:১৫মিনিটে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মূল হলে এ নাটকের মঞ্চায়ন করা হয়। পুলিশ থিয়েটারের চতুর্থ প্রযোজনায় বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাবের সদস্যবৃন্দ এ নাটকের মঞ্চায়ন করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, এমপি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ও পুলিশ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নাট্যজন।নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দেন জাহিদুর রহমান। অপরাধ দমন ও জনসচেতনার ব্যাপারে বরাবরই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে চলছেন পুলিশ বাহিনী । তার পাশাপাশি থিয়েটারের মাধ্যমে সমাজ সচেতনেও কাজ করেছেন।
দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে বিক্রি হওয়া এক তরুণী রানী নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে উপলদ্ধী করেন, সমাজের অসংগতি,পতিতা পল্লীতে থাকা নারীদের জীবন এবং তাদের সন্তানদেরর অচলায়তনের অবস্থার দৃশ্য। প্রভাবশালীরা স্বপ্নচারী তুরুণীদের কিভাবে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে পতিতা পল্লীতে নিয়ে গিয়ে নারীদের ভোগ্যপণ্য বানিয়ে হাতিয়ে নেয় অর্থকড়ি তার বাস্তবচিত্র ফুটে উঠেছে নাটকের এক পর্যায়ে পতিতাপল্লীদের মানবিকতায় রক্ষায় পাশে এসে দাঁড়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তা ।
ঠিক করা হয় পতিতাপল্লীতে থাকা নারীদের মরদেহ দাফনের,পতিতা পল্লীর বদলে নামও বদল করে রাখা হয় দৌলতদিয়া বাজার পূর্বপাড়া, সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে সহযোগিতায় করায়, একাধিক প্রভাবশালীদের কবলে পড়তে হয় রাণীকে। মিথ্যা খুনের অভিযোগে ফাঁসি দেয়া হয় তাকে। মঞ্চায়িত নাটকটি উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। ‘অচলায়তনের অপ্সরী’’ আলোকিত সমাজ গঠনের হাতিয়ার বলে মনে করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ,এমপি।
নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা জাহিদুর রহমান বলেন, নাটকটির মাধ্যমে সমাজের অবহেলিত নারীদের জীবনযাত্রা তুলে ধরা হয়েছে।
নাটকটির রাণী চরিত্রের মূল ভূমিকা ছিলেন তামান্না তমা, তিনি বলেন – আমি আনন্দিত এই নাটকটিতে অভিয়ন করতে পেরে,নাটকটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা ছিলো আমার জন্য চ্যালিন্জিং,নাটকের রচনাটি অসাধারণ হওয়ায় সকলের অভিনয় দর্শকরা দারুনভাবে গ্রহণ করেছেন।