
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পূর্ব দিকে মেঘনা নদী এবং পশ্চিম দিকে তেতুলিয়া নদী। এর মধ্যে মেঘনা নদীতে বালু মহাল থাকলেও তেতুলিয়া নদীতে বালু মহাল ইজারা নেই। আর অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তেতুলিয়া নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু তুলে কোটিপতি বনে যাচ্ছে। আর এদের কে প্রশ্রয় দিচ্ছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গ।
আজ সোমবার ( ১৮-৯-২৩ইং) বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ফকির বাড়ি চৌরাস্তা নামক স্থানে জয়া- বোরহানউদ্দিন সড়কে অবৈধ ভাবে বালু ড্রেজার পাইপ বসিয়ে বালু সরবরাহ করার সময় বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রায়হান উজ্জামান খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর আগমন টের পেয়ে ড্রেজারের লোকজন পালিয়ে যায়।
একপর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রায়হান উজ্জামান কুতুবা ইউনিয়ন পরিষদ এর চৌকিদারদের মাধ্যমে রাস্তার উপর স্থাপিত ড্রেজার পাইপ ও তার আনুষাঙ্গিক মালামাল সড়িয়ে রাস্তায় গাড়ি চলাচলের ব্যবস্তা করে দেয়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রায়হান উজ্জামান কে স্থানীয় লোকজন আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং পরবর্তীতে যেন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা এধরণের রাস্তা অবরোধ করে বালু তুলতে না পারে সে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেন।
এ অনুরোধে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, প্রশাসনের লোকজন সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে। যে কোন অবৈধ কাজ হউক না কেন আপনারা প্রশাসন কে জানাবেন এবং আমার সেটার ব্যবস্থা নেব।
উল্লেখ্য এই জয়া- বোরহানউদ্দিন রোডের ফকির বাড়ির চৌরাস্তা নামক জায়গাটি নদী ভাঙ্গন কবলিত। এ নদী ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ এবং ব্লক দিয়ে নদী ভাঙ্গন রোধে বর্তমান সরকার উদ্যোগ নিয়ে দুটি ইউনিয়ন কে রক্ষা করেছে। কিন্তু কতিপয় অসাধু ব্যাক্তি অবৈধভাবে বালুর ড্রেজার পাইপ বসিয়ে বালু সরবরাহ করার কারনে এই বাঁধটি হুমকির মুখে।
স্থানীয় লোকজন এ প্রতিবেদক কে বলেন, কতিপয় অসাধু ব্যাক্তির ব্যবসার জন্য আমাদের দীর্ঘদিনের নদী ভাঙ্গন রোধে সরকারের দেওয়া ব্লক ও জিও ব্যাগ সরে গিয়ে আবারও নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়তে হবে। আমাদের দুটি ইউনিয়নের চলাচলের রাস্তা এটি। আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ার জন্য স্কুল কলেজে যাওয়া এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদরে যাওয়ার রাস্তা এটি । আমরা অবৈ বালু ব্যবসায়ীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।