ভোলায় দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আখের চাষ। ঝুঁকি কম, তুলনামূলকভাবে লাভ বেশি হওয়ায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি আখ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। জেলার ৭টি উপজেলাতেই বেড়েছে আখের চাষ।
দেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলা। ভোলার মাটি ও আবহাওয়া আখ চাষের জন্য উপযোগী। অন্যান্য ফসল চাষের মতো এ জেলাতে আখ চায়ের পরিধি দিনে দিনে বেড়ে চলছে ।
আখ চাষে খচর কম ও লাভ ভালো হওয়া এই চাষের দিকে দিনে দিনে ঝুঁকছেন ভোলার কৃষকরা। জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীরসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে ও রপ্তানি করা হয় এই আখ।
ভোলা সদর উপজেলার আখ চাষী আব্দুল বারেক জানান, আমি ২৪ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করি। এতে আমার খরচ হয় ৪০/৪৫ হাজার টাকা। বছর শেষে আমার বিক্রি হয় প্রায় ৭০ হাজার টাকা। ভালো আয় হয় তাই আমি এ আখ চাষ করি।
তবে আখ চাষিরা জানান, আখ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সার কীটনাশক-এর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কমে যাচ্ছে তাদের লভ্যাংশ।
অন্য দিকে বেপারীরা জানান, গত বছর এর তুলনায় এ বছর আখের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবছর প্রতিশত আখ ১,৫০০ থেকে ২,৫০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। এবছর যা প্রতিশত আখ বিক্রি হয় ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫শত টাকায়।
ভোলা জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ হাসান ওয়ারিসুল কবীর জানান, ভোলা জেলা আখ চাষের একটি সম্ভাবনাময় জেলা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখ চাষে তুলনামূলকভাবে খরচ কম লাগে। ভোলা আখ চাষে জন্য উপযোগী ও আখে পোকার অক্রমণ কম হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আখ চাষ বেড়ে চলছে। এবছর জেলাতে আখ চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৮৯ হেক্টর জমিতে। লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৫৭০ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে ফলনের যে অবস্থা তাতে আমরা মনে করি ভালো ফলন হবে।
