মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস চালাচ্ছেন অফিস সহকারী ও প্রহরী

দুই কর্মচারী দিয়ে চলছে কমলনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কার্যক্রম। শূন্য রয়েছে হিসাবরক্ষক ও অফিস সহকারীর পদ। এক বছরেরও বেশি সময় অফিসটি কর্মকর্তা শূন্য থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের।

উপজেলায় দুটি কলেজ, তিনটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৪টি মাদ্রাসা রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরীর একটি করে পদ রয়েছে। এর মধ্যে এখানে কর্মরত মাত্র দু’জন কর্মচারী। এ অবস্থায় কার্যক্রম চালাতে হিমশিম অবস্থা তাদের।

অফিস সহকারী আলমগীর হোসেন বলেন, দুই কর্মকর্তাসহ হিসাবরক্ষক না থাকায় আমাকে একাই সব কাজ করতে হচ্ছে। একা সব কাজকর্ম চালিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে।

সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম গত বছরের ২৫ এপ্রিল বদলি হয়ে চলে যান। একই বছরের ২৭ জুলাই বদলি হন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। তখন থেকেই অফিসটি কর্মকর্তা শূন্য। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এ উপজেলায় দায়িত্বে রয়েছেন। হিসাবরক্ষক ইকবাল হোসেন ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজে ডেপুটেশনে রয়েছেন। অফিস সহায়ক কামাল হোসেন গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বদলি হন রায়পুর উপজেলায়। অফিসের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আলমগীর হোসেন ও নিরাপত্তা প্রহরী মো. নাসির কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে নিচ্ছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার কাজই করতে হচ্ছে এ দু’জনকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান, বই বিতরণ, ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি, পাবলিক পরীক্ষা, সরকারি কর্মসূচি পালন, নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে পরামর্শের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। কিন্তু সেখানে কোনো কর্মকর্তা না থাকায় কর্মচারীদের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলতে হয়। তারা সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন না। এতে সমস্যায় পড়তে হয়।

তারা আরও জানান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দু- তিন সপ্তাহ পর এক দিন অফিসে আসেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের যাবতীয় কাজের জন্য লক্ষ্মীপুর যেতে হয়। এতে সময় ও অর্থ দুটোই নষ্ট হচ্ছে।

উপজেলা প্রধান শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও চরবসু এসইএসডিপি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মানিক জানান, গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শূন্য। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে দ্রুত এ সমস্যা সমাধান দরকার।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র মিত্র বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নজর দেবে।

শেয়ার করুন:

Recommended For You