নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দুগ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  বুধবার দলের কর্মসূচি চলাকালে পদবঞ্চিতরা হামলা করলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে মহানগর বিএনপির কালো পতাকা মিছিল-পূর্ব সমাবেশে হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলায় সাংবাদিকসহ প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় একটি মোটরসাইকেল, সমাবেশের মাইক ও রিকশা ভাঙচুর করা হয়। কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। হামলাকারীরা দুটি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ক্যামেরাপারসনকে মারধর করে পালিয়ে যায়। তবে আহতদের কারও অবস্থা তেমন গুরুতর নয়। পরে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নেতাকর্মীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে মহানগর যুবদল ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। আর এই দুই কমিটিতে ত্যাগীরা পদ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। তারই অংশ হিসেবে মহানগর যুবদলের পদবঞ্চিত নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফের অনুসারীরা মঙ্গলবার রাত থেকে সংঘবদ্ধ হতে থাকেন।

বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা কালো পতাকা মিছিলপূর্ব সমাবেশে যোগ দিতে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন। সমাবেশ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাজহারুল ইসলাম জোসেফের অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালান। এতে কিছু সময়ের জন্য প্রেস ক্লাব এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সমাবেশস্থলে যাকেই পেয়েছেন তাকেই পিটিয়েছেন বিদ্রোহীরা।

এ বিষয়ে মাজহারুল ইসলাম জোসেফ বলেন, মহানগর যুবদলের কমিটি ঘোষণার পর থেকেই অনেক যুবদল নেতাকর্মী বিএনপি নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। কারণ তারা দিনের পর দিন ত্যাগ স্বীকার করলেও তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সেই ক্ষোভ থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমি তাদের নিষেধ করেছিলাম, তারা আমার কথা শোনেননি।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে সরকারি দলের এজেন্টরা হামলা চালিয়েছে।

মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও বহিরাগত এসে বিএনপির কর্মসূচিতে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। ওরা ঠিক কারা, আমরা সেটা জানি না। ওদের প্রতিহত করতে আমরা এগিয়ে গেলে তারা চোরের মতো পালিয়ে যায়।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা বলেন, ঘটনাস্থলে বিএনপির একটি পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করতে হয়েছে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন:

Recommended For You