শ্রেণি কক্ষের ভেতর দিয়ে গেছে বিদ্যুতের সংযোগ তার! 

আমতলী একে সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের একটি কক্ষের দেয়াল ছিন্দ্র করে পাশের খুঁটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। এতে কক্ষের বিদ্যুতের সঙ্গেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা পাঠদান করছেন। জীবন শঙ্কায় কোমলমতি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। অভিযোগ রয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানালেও তারা তা আমলে নিচ্ছে না। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে জীবন শঙ্কা মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

জানাগেছে, ২০০৬ সালে আমতলী একে সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। ওই সময়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ ছিদ্র করে ভেতর দিয়ে বিদ্যুতের কভার তার টেনে পাশ্ববর্তী খুঁটিতে সংযোগ দিয়েছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবন ছিদ্র করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে নিষেধ করলেও তারা তা আমলে নেননি বলে অভিযোগ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। গত ১৭ বছর ধরেই বিদ্যালয় কক্ষে এভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। ওই বিদ্যুতের সংযোগ তারের কক্ষেই আতঙ্কে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা পাঠদান করছেন। এতে জীবন শঙ্কায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। বিদ্যলায় কর্তৃপক্ষ সংযোগ সরাতে আমতলী পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে আবেদন করলেও তারা পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বছরের পর বছর তারা কালক্ষেপন করছেন এমন অভিযোগ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নানের। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলার একটি শ্রেণি কক্ষের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের তার নেয়া হয়েছে। ওই তারের নিচেই শ্রেণি কক্ষে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা পাঠ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। বাড়ান্দায় একটু উঁচুতে ছিদ্র করে তার নিয়ে পাশে একটি খুঁটির সাথে সংযোগ দেয়া হয়েছে। ওই খুঁটি থেকে অন্তত ২০-২৫ বাসাবাড়ীতে সংযোগ তার নেয়া হয়েছে। খুটিটিও বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে।

বিদ্যালয় শিক্ষার্থী কেবি সাদিয়া মমতাজ মিমো, উম্মে জাহান, আরিশা, বুশরা ও আরিয়া জানান, প্রতিদিন ভয়ের মধ্যেই শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করতে হচ্ছে। কখন কী হয়ে যায় এই আতঙ্কেই থাকতে হয়। দ্রুত বিদ্যালয় কক্ষ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানান তারা।

অভিভাবক রিপন মুন্সি, টিপু সুলতান ও রুনা বেগম বলেন, শিশু সন্তানকে ভয়ের মধ্যেই বিদ্যালয়ে পাঠাতে হয়। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ভবনের দেয়াল ছিদ্র করে সংযোগ রেখে দিয়েছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে শ্রেণি কক্ষ স্বাভাবিক করার দাবি জানান তারা।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাইনুল ইসলাম বলেন, আতঙ্কের মধ্যেই বিদ্যালয়ের কক্ষে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান করাতে হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার লিখিতভাবে জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ সরানোর দাবি জানান তিনি।

আমতলী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস এজিএম মিন্টু রহমান বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন করে খুঁটি সরাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বহন করলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে।

শেয়ার করুন:

Recommended For You