
১৯৯৩ – ২০২৩ সাল। দুই যুগের বেশি সময় পার হয়ে গেছে। বদলে গেছে অনেক কিছু যেমন সত্য ঠিক তেমনি বদলায়নি অনেক কিছু এটাও সত্য। ৩০ বছর আগের বাস্তবতা আর এখনকার দিনের বাস্তবতার মাঝে ভয়াবহ রকমের মিল।
চাঁদাবাজ’ শুধুই একটি চলচ্চিত্র নয়, ‘চাঁদাবাজ’ হলো এইদেশের কোটি মানুষের না বলা আগুনঝরা ক্ষোভের ভাষা, ‘চাঁদাবাজ’ হলো কোটি মানুষকে প্রতিবাদ করার সাহস যুগানোর শিক্ষা।
একটি বাড়ি নির্মাণের স্বপ্ন কিভাবে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়ে একটি সুখের সংসারকে তছনছ করে দেয় তা ‘চাঁদাবাজ’ সিনেমাটি না দেখলে অজানাই রয়ে যেতো। অথচ এমন হক সাহেবের করুন কাহিনী আমাদের চারপাশে আজো ঘটে চলেছে যার খবর আমরা কেউই রাখিনা।
তেমনি বাস্তবতা এখন আমাদের চারপাশ’’ চলছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি। গত ২৮আগস্টের একটি সংবাদ শিরোনাম’ চাঁদা না দেয়ায় কুমিল্লার দাউদকান্দি বারোপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে হামলা ।
ইউপি চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম মানিক তিনি এই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাউদকান্দি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্র থেকে জানা যায়, ইউনিয়নের চিহিৃত একটি চাঁদাবাজ চক্র,মাদকসেবী ও ব্যবসার সাথে জড়িত ১০ থেকে ১৫জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রবিবার (২৭আগস্ট) বিকেলে পরিষদের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলে সেখানে পরিষদের সদস্য ও এলাকার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত দেখেও সেখানে সেই সময় হামলার করার লক্ষ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে প্রবেশের চেষ্টা চালায় ।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম মানিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই একটি সংঘবদ্ধ দল নানাভাবে আমাকে হুমকি প্রদান করে আসছিলো তবে আমি মাদক কারবারি ও চাঁদাবাজ দলের হুমকি প্রদানে কোন কথা কর্ণপাত না করে এলাকার সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছি । একটা পর্যায়ে সংঘবদ্ধ এই চাঁদাবাজ গ্রুপটি আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকার চাঁদার দাবি করে। আমি তাদের কাছে জানতে চাই কিসের ভিত্তিকে আমি তোমাদেরকে টাকা দেবো ।
তারা তখন বলে ইউনিয়নের প্রতিটি কাজের থেকে আমাদের পার্সেন্টিজ (শতকরা) দিতে হবে। তা না হলে পূর্বের চেয়ারম্যানের মতো করে ইউনিয়ন পরিষদে বসতে দিবেনা আমাকে হুমকি প্রদান করে । এই সকল হুমকি প্রদানকারী দলটিই গত রবিবার অফিস চলাকালিন পরিষদের সচিব ও কয়েকজন ইউপি সদস্য এবং এলাকার বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে আমাকে মারার জন্য তেড়ে আসেন। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বিষয়টি আমি লিখিতভাবে দাউদকান্দি মডেল থানাকে অবহিত করেছি।
ইউপি সদস্য মো. আল আমিন মুনশি বলেন, আমিসহ আরও ৪ জন মেম্বারের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের ওপর হামলার চেষ্টা চালায় ১০ থেকে ১৫ জনের দুর্বৃত্তের দলটি।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। চেয়ারম্যানের ওপর হামলার চেষ্টা ও হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি,আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।