সর্বজনীন পেনশন একটি চমকপ্রদ উদ্যোগ : রমেশ চন্দ্র সেন

বাংলাদেশ আ’লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বজনীন পেনশন একটি চমকপদ ও ভাল উদ্যোগ। অর্থমন্ত্রী এটাতে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। আপনারা সবাই প্রত্যেকটি এলাকায় এটিতে এগিয়ে আসবেন। এতে দেশের ও সরকারের লাভ হবে। জনগণের দ্বিগুন লাভ হবে। এ স্কিমটা নতুন উদ্যোমে চালু হোক এই কামনা করি।
তিনি রোববার সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সর্বজনীন পেনশন করতে পারলে আমাদের লাভ হবে। যদি কেউ এটি ৬০ বছর পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারলে তারা কিন্তু লাভবান হবেন। তারা তাদের জীবনকে সুন্দর করে পরিচালিত করতে পারবেন। অন্যান্য যেখানে আমরা বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে টাকা জমা দেই, যেমন পোস্ট অফিসে দেই, সেখানে জমা দেওয়ার পর হয়তো ৭/৮ বছর পর বাংলাদেশ ব্যাংক টাকাটা তুলে নেয়। আগে ৫ বছর ছিল, এখন ১০ বছর হয়েছে। সেখানে তেমন একটা সুযোগ সুবিধা নেই। সর্বজনীন পেনশনে সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি। ডিজিটাল যুগে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। আর এই ডিজিটাল যুগে যদি আরও বেশি এগিয়ে যেতে চাই তাহলে প্রত্যেককে সঞ্চয়ী হতে হবে। এতে আমরা কেউ যাতে কারও দিকে না তাকাই, সবাই নিজেরটা নিজেই করি। শিল্প কারখানা, কৃষিকাজ সেগুলো করবে, তার উপরে এই স্কিমটা যেন চালু থাকে। এর উপরে প্রত্যেকটা ছেলে-মেয়ে যখনই জন্ম নেয় তখনই স্কিম চালু হয়ে যায়। সরকার লোন দিতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমরাও উন্নত বাংলাদেশের পথে এগিয়ে গিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর হচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কিভাবে একটা কম্পিউটারকে পরিচালনা করবেন, স্কিমের আওতায় এটাকে আরও বেশি জানার সুযোগ পাবেন সেটা হবে। যারা শিক্ষিত তারা তো সহজেই জেনে যাবেন, সেই সাথে অন্যান্যরা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনে যাবেন। ভবিষ্যতে আমাদের একটা বিশাল অর্থ জমা দেওয়ার খাতিরে আমাদের এটা জমা দেওয়া দরকার। সরকার এটা ডবল দিবে। সর্বপরী এই স্কিমটা অত্যন্ত স্মার্ট ও মহৎ। আর এই স্কিমটাকে সফল করার দায়িত্ব সকল ব্যাংকার, আমাদের সকল যারা সুবিধাভোগী তাদের। এটাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য মানুষকে বোঝাতে হবে। তা না হলে হঠাৎ করে এটা চালু হলো, তাহলে হবে না। রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। পরে কে কত টাকা জমা করবেন সেটা নির্ভর করবে। আমাদের কৃষক ভাইয়েরা তাদের কৃষি অর্থ যদি জমা দেয়, তাহলে ১০ বছর পর ২০ বছর পর এখান থেকে যা আয় হলো সেটা বড় কোন কাজে লাগাতে পারবে। আর এখানে একজন নমিনি থাকছেন, ফলে যদি তিনি মারা যায় নমিনি টাকাটা তুলতে পারবেন। চিন্তার কোন বিষয় থাকছে না।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. মামুন ভুইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিথুন সরকার, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, পীরগঞ্জ পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল হক, রাণীশংকৈল পৌর মেয়র মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখ।
শেয়ার করুন:

Recommended For You