বঙ্গবন্ধুর নজরুল-দর্শন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস ২৭শে আগস্ট। দ্রোহ, প্রেম, সাম্য আর মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাঙালির স্বাধীনতা আর মুক্তির চেতনায় কাজী নজরুল ইসলাম এক অনন্য নাম। আর তাইতো মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে এসে তাঁকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯২০ সালে। কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৮৯৯ সালে। দুজনই লড়াই করেছিলেন পরাধীনতার বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসক, শোষক, ঔপনিবেশিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, সংগ্রাম করে, জেল-জুলুম বরণ করে এবং দেশের মানুষকে স্বাধীনতা ও মুক্তির স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ করে তুলে জন্ম দিয়েছেন লাল সবুজের পতাকার বাংলাদেশ। আর তাঁর অগ্রজ কাজী নজরুল ইসলাম ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহী’র মতো কবিতা লিখে মানুষকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। যতদিন তাঁর লেখবার মতো শক্তি ছিল, অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে কবির কলম ছিল তরবারির চেয়েও ধারালো যেনো।

বঙ্গবন্ধু এবং কাজী নজরুল ইসলাম দুজনেই রাজনৈতিক মুক্তির বিষয়ে যেমন সবসময় সোচ্চার ছিলেন, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা, অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠন- হিন্দু-মুসলিমের মিলন ও সহাবস্থান, নারীমুক্তি ইত্যাদি বিষয়েও তাঁরা লড়াই করেছেন সর্বদা।

আগেই জেনেছি, কাজী নজরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর চেয়ে দুই দশকের অগ্রজ ছিলেন। বঙ্গবন্ধু স্বাভাবিকভাবেই নজরুল দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন, এমনকি প্রভাবিত ছিলেন বললেও অত্যুক্তি হবে না। তাই এই দুই মহান বাঙালির প্রথম দেখা কবে কোথায় হয়েছিল, সেই ঘটনাটি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করি। এই লেখার শিরোনামে ‘দর্শন’ শব্দটি তাঁর দেখা পাওয়া এবং নজরুলের দার্শনিক চেতনা বঙ্গবন্ধুর উপর কতখানি প্রভাব ফেলেছিল দুটি বিষয়কে বোঝাতেই ব্যবহার করা হয়েছে।

১৯৪১ সালের ১২ই আগস্ট ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হয় জেলা মুসলিম ছাত্রলীগ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগদান করতে হুমায়ুন কবির ফরিদপুরে আসেন। তিনি তখন বঙ্গীয় আইন সভার একজন সদস্য। পাশাপাশি সাহিত্যিক হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। কবি কাজী নজরুল ইসলাম আসেন সম্মেলনের প্রধান অতিথি হয়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এই সম্মেলনে যোগদান করেন। কিন্তু সম্মেলনকে ভ-ুল করতে ব্রিটিশ সরকার ১৪৪ ধারা দিয়ে সম্মেলনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। মুসলীম লীগ নেতা ইউসুফ আলী চৌধুরী মোহন মিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ধরে সম্মেলনকে বাধা দিতে এই ১৪৪ ধারা দেয়ান। [স্মৃতিকথা : ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু, ড. মাসুদ রেজা; পৃষ্ঠা- ২০] নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তৃতা করার পাশাপাশি গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন। ছাত্র সম্মেলনে রাজনৈতিক আলোচনা না হয়ে শিক্ষা এবং ছাত্রদের কর্তব্য বিষয়ে আলোচনা এবং বক্তৃতা হওয়ার বিষয়ে মতামত দেন বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সঙ্গীরা। কিন্তু সেখানে দলাদলি হয়ে ছাত্ররা দুই ভাগ হয়ে যায়। সেই দলাদলি নিরসনে ১৯৪২ সালে বঙ্গবন্ধুকে আবারও ফরিদপুরে আসতে হয়েছিল। এবং তিনি তাতে সফলও হয়েছিলেন। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন-

“একটা ঘটনার দিন-তারিখ আমার মনে নাই, ১৯৪১ সালের মধ্যেই হবে, ফরিদপুর জেলা কনফারেন্স, শিক্ষাবিদদের আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। তাঁরা হলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, ইব্রাহিম খাঁ সাহেব। সে সভা আমাদের করতে দিল না, ১৪৪ ধারা জারি করল। কনফারেন্স করলাম হুমায়ুন কবির সাহেবের বাড়িতে। কাজী নজরুল ইসলাম সাহেব গান শোনালেন। আমরা বললাম, এই কনফারেন্সে রাজনীতির আলোচনা হবে না। শিক্ষা ও ছাত্রদের কর্তব্য সম্মন্ধে বক্তৃতা হবে। ছাত্রদের মধ্যেও দুইটা দল হয়ে গেল। ১৯৪২ সালে আমি ফরিদপুর যেয়ে দলাদলি শেষ করে ফেলতে পারলাম এবং পাকিস্তানের জন্যই যে আমাদের সংগ্রাম দরকার এ কথা তাঁরা স্বীকার করলেন। তখন মোহন মিয়া সাহেব এবং সালাম খান সাহেব জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি ও সম্পাদক ছিলেন।” [অসমাপ্ত আত্মজীবনী : শেখ মুজিবুর রহমান, পৃষ্ঠা- ১৬]

১৯৪১ সালের এই সম্মেলনের রাজনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকও রয়েছে। কবি কাজী নজরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর জীবনে, চেতনায় যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিলেন তা অনস্বীকার্য। এমনকি বঙ্গবন্ধুর দেওয়া যে জাতীয় শ্লোগান ‘জয় বাংলা’ কণ্ঠে ধারণ করে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম পরিচালিত হয়েছিল এবং আজও যা বাঙালির প্রাণের শ্লোগান, তা বঙ্গবন্ধু নজরুলের রচনা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েই দিয়েছিলেন বলে গবেষকরা বলেছেন। আবার এই দেশের নামকরণের ইতিহাসেও আমরা দেখি ১৯৬৯ সালে যখন এই অঞ্চলের নামকরণ নিয়ে নানারকম আলোচনা চলছিল তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রস্তাব করেন ‘বাংলাদেশ’ নামটি। দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এ ২০২১-এর ৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত মো. পনিচুজ্জামান সাচ্চুর ‘বাংলাদেশ’ নামটি কীভাবে এলো? শীর্ষক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে : “৫ ডিসেম্বর, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভাতে তৎকালীন নেতারা এ অঞ্চলের জন্য বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করেন। উল্লেখযোগ্য নামগুলো ‘স্বাধীন পূর্ব বাংলা’, ‘বাংলা’, ‘বেঙ্গল’, ‘ইস্ট বেঙ্গল’, ‘বঙ্গ’, ‘বঙ্গ দেশ’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘বাংলাদেশ’ নামটি উত্থাপন করেন। অধিকাংশ নেতাকর্মীই ‘বাংলাদেশ’ নামটি মেনে নেন। ৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় ‘বাংলাদেশ’ নামকরণের খবর ছাপা হয়। ‘পাকিস্তান অবজার্ভার’-এ আতাউর রহমান খান, বঙ্গবন্ধুর এই নামকরণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দেন। এছাড়া ন্যাপের মওলানা ভাসানী ৭ ডিসেম্বর এক জনসভায় বাংলাদেশ নামকরণ সমর্থন করে বলেন, “ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণই হবে সঠিক এবং যথার্থ।” তিনি যুক্তি দেন, “যেহেতু এক ইউনিট ভেঙে গেছে, তাই ‘বাংলাদেশ’ নামটি পুনরুজ্জীবিত হওয়া উচিত।” এর বহুকাল আগেই (১৯৩২ সালে) কাজী নজরুল ইসলামের লেখা কবিতায় আমরা পাই : “নম নম নমো বাংলাদেশ মম/ চির-মনোরম চির মধুর।” বাংলা ১৩৪৯ সালে নজরুল তাঁর ‘বাঙালির বাঙলা’ প্রবন্ধে লিখলেন, “বাঙালিকে, বাঙালির ছেলেমেয়েকে ছেলেবেলা থেকে শুধু এই এক মন্ত্র দেখাও :

এই পবিত্র বাংলাদেশ
বাঙালির- আমাদের।”

এখানেও তিনি বাঙালির ভূখণ্ডের নাম ‘বাংলাদেশ’ উল্লেখ করেছিলেন।

সাহিত্যপ্রেমী এবং নজরুল অনুরাগী বঙ্গবন্ধু যখন দেশের নামকরণ করলেন তখন নজরুলের ‘বাংলাদেশ’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন অনুমান করলে কি খুব ভুল কিছু ভাবা হবে?

দেশ স্বাধীন হবার পরে অসুস্থ কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে এনে তাঁর জন্মদিনের উৎসব করে তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এর আগেও ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু যখন যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভার মন্ত্রী তখন সরকারি কাজে কলকাতা গেলে তিনি নজরুলের জন্য রজনীগন্ধা ফুল আর মিষ্টি নিয়ে কবির সাথে দেখা করেছিলেন। তার আগে ১৯৫৩ সালের ২৩শে মে ঢাকায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তরে ‘নজরুল দিবস’ পালন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানের জন্য বঙ্গবন্ধু একটি প্রবন্ধ লেখেন। কিন্তু তিনি তখন করাচিতে থাকায় তাঁর লেখা প্রবন্ধটি পাঠ করেন ছাত্রনেতা মোশাররফ হোসেন চৌধুরী। ইত্তেফাকে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, “এই গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধে নজরুলের বৈপ্লবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও বিদ্রোহী জীবনযাত্রার এক নিখুঁত আলোচনারূপে প্রতিপন্ন হয়। এসব থেকে বোঝা যায় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বঙ্গবন্ধু কতখানি ধারণ করতেন।

কবির সাথে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎ উল্লিখিত ছাত্রলীগের সম্মেলনে হয়েছিল বলেই ধরে নেওয়া যায়। এর আগে আর কোথায় তাঁরা উভয়েই একইসময়ে উপস্থিত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। ১৯৪১ সালে ফরিদপুরে কবি হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে যে মুসলিম ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেখানেই কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম সরাসরি সাক্ষাতের প্রামাণিক তথ্য পাওয়া যায়। অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর ‘বঙ্গবন্ধুর নজরুল’ প্রবন্ধে লিখেছেন, “সরকারের ১৪৪ ধারা জারির কারণে প্রকাশ্যসভা হতে পারেনি। কিন্তু ঘরোয়া সভায় কাজী নজরুল ইসলাম গান শুনিয়েছিলেন; শিক্ষা ও ছাত্রদের কর্তব্য সম্পর্কে বক্তব্যও দিয়েছিলেন। … কাজী নজরুলের সেই বক্তৃতা ও গানে অন্যদের মতো বঙ্গবন্ধুও ছাত্রাবস্থায় অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন নিশ্চয়। তা না হলে এই স্মৃতি তাঁর আত্মজীবনীতে ঠাঁই পাবে কেন?” [বঙ্গবন্ধু ও নজরুল, সৌমিত্র শেখর। সৌমিত্র শেখর সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে নজরুল’ শীর্ষক বইয়ে, পৃষ্ঠা- ৫০]

উল্লেখ্য, এই সম্মেলনের কিছুকাল পরে ১৯৪২ সালের জুলাই মাসে কবি কাজী নজরুল ইসলাম দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র জীবনে নজরুলের লেখা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন বলে গবেষকরা বলেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠেও আমরা জানতে পারি, নজরুলের সৃষ্টি, কর্ম আর আদর্শে অনুপ্রাণিত বঙ্গবন্ধু তাঁর কবিতা আত্মস্থ করেছিলেন। তাই ১৯৫৩ সালে সোহরাওয়ার্দীর সাথে করাচি যাত্রাকালে মোটর গাড়িতে পাকিস্তানী আইনজীবীদেরকে কাজী নজরুল ইসলামের বেশ কয়েকটি কবিতা মুখস্ত শুনিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর লেখনী থেকেই কবিতার তালিকাগুলো দেখলে আমরা সহজেই বুঝতে পারি নজরুলে সেই সব কবিতাই তিনি শুনিয়েছিলেন যে কবিতাগুলোতে মানবতা, সাম্যবাদ, খেটে-খাওয়া মানুষের অধিকারের কথা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি শুনিয়েছিলেন- ‘চোর-ডাকাত’ ‘সাম্য, ‘নারীসহ আরো কিছু কবিতার অংশ বিশেষ। বঙ্গবন্ধু তাঁর নিজের রাজনৈতিক জীবনে এইসব কবিতার চেতনাকে ধারণ করেছিলেন সম্পূর্ণরূপে। সুতরাং সেই কবির সাথে প্রথম এবং কবির সুস্থ থাকাকালীন একমাত্র সাক্ষাৎপর্বটি ঐতিহাসিকভাবেই গুরুতপূর্ণ হয়ে উঠবার দাবিদার। ফরিদপুরে ১৯৪১ সালের ১২ই আগস্ট এই দুই মহান বাঙালির প্রথম প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎ ঘটেছিল। তরুণ শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন কাজী নজরুল ইসলামের কাছ থেকে উজ্জীবনী চেতনা-শক্তি সঞ্চয় করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে অসুস্থ কবি কাজী নজরুল ইসলামকে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন। সম্মান দিয়েছিলেন। এই দুই শ্রেষ্ঠ বাঙালির সাক্ষাৎ-এর তাৎপর্য আক্ষরিক অর্থেই বিশাল, বিপুল।

বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির জনক। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। দুজনেরই জন্ম-মৃত্যু দিবস আমরা ব্যাপকভাবে পালন করি। কিন্তু আমাদের ব্যক্তিজীবনে, জাতীয় জীবনে, রাষ্ট্রীয় পরিসরে এবং সমাজজীবনে বঙ্গবন্ধু এবং কাজী নজরুল ইসলামের দর্শন চর্চা করি না। আমরা যদি শুধু আনুষ্ঠানিকতায় বন্দি না করে জীবনচর্যায় এই দুজনের চেতনাকে ধারণ করতে পারি, তাহলে দেশের অনেক সংকট মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ পাওয়া সহজতরো হবে নিশ্চিতভাবেই।

শেয়ার করুন:

Recommended For You