জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে নতুন এনআইডি সংগ্রহ : হাইকোর্টের রুল

জামালপুরের বকশীগঞ্জের বগারচর ইউনিয়নের আলীরপাড়া গ্রামে জীবিত ব্যাক্তিকে মৃত দেখিয়ে নতুন এনআইডি সংগ্রহ করে রেলওয়েতে চাকুরি করায় বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান মাসুম প্রামানিক ও অভিযুক্ত আলীরপাড়া গ্রামের আসাদুল্লাহর ছেলে মো. মিস্টারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রুল নিশি জারি করেছে হাইকোর্ট। বাদীর পক্ষে এডভোকেট খলিলুর রহমান ও রাশেদুল করিমের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ হাইকোর্টের একটি যৌথ বেঞ্চ ওই রুল নিশি জারি করেন।

বিজ্ঞ হাইকোর্ট বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমীন ও সুপারিন্টেন্ডেন্ট রফিকুল খানের স্বাক্ষরিত ২৬ আগস্ট প্রাপ্ত ডকুমেন্ট বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ।

জানা যায়, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের আলীরপাড়া গ্রামের আসাদুল্লাহর ছেলে মো: মিস্টার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্ম তারিখ মোতাবেক চাকুরির বয়স শেষ হয়। পরে মিস্টার জীবিত থাকার পরেও মিস্টারকে মৃত দেখিয়ে একটি মৃত্যু সনদ দেন বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান প্রামানিক। সেই মৃত্যু সদন নিয়ে স্থানীয় নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে নিজের নাম মো. মিস্টারের পরিবর্তে ‘মো. মিস্টার আলী’ নাম ব্যবহার ও জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংগ্রহ করে। মিস্টার দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েম্যান পদে চাকুরি করে আসছেন। এই নিয়ে হাইকোর্টে আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিজ্ঞ বিচারক বিশমাদেব চক্রবর্তী ও বিজ্ঞ বিচারক আলী রেজা যৌথ বেঞ্চ ওই রুল নিশি জারি করেন।

যাদের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন তারা হলেন- বাংলাদেশ রেলওয়ের সচিব প্রতিনিধি, রেলওয়ে সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিজি, বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের ম্যানেজার, এলজিইআরডির সচিব, জামালপুরের জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব, জামালপুরের জেলা নির্বাচন অফিসার, বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের আসাদুল্লাহর ছেলে অভিযুক্ত মো. মিস্টার (The real person) , মো. মিস্টার আলী (The fake imposter person), বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের আলীরপাড়া গ্রামের ভোমর ব্যাপারীর ছেলে আসাদুল্লাহ, উপজেলা ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মনিরুজ্জামান, মিস্টার আলীর ছেলে মেহেদী, বগারচর ইউনিয়নের মেম্বার হাফিজুর রহমান, বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান প্রমানিক মাসুম, বকশীগঞ্জ উপজেলার আলীরপাড়া সরকারী প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক বদরুদ্দুজা ও আলীরপাড়া মফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু রহমান।

এ ব্যাপারে বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেকুর রহমান মাসুম প্রামানিক বলেন, ‘মৃত্যু সনদে আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। আমি মৃত্যু সনদে স্বাক্ষর করি নাই।’

Recommended For You