দেশের প্রথম ড্রাগন হাট ঝিনাইদহে, দৈনিক বিক্রি ৫ কোটি টাকা

শুনতে অবাক লাগলেও এটাই এখন বাস্তব । একটি হাটে দৈনিক বেচা-কেনা ৫ কোটি টাকা । দেশের প্রথম ড্রাগন ফলের হাট বসছে ঝিনাইদহে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমজমাট থাকে এই হাট। কৃষকরা পাচ্ছেন ন্যায্য মূল্য আর পাইকাররা দেখে শুনে কিনতে পারছেন পছন্দের ফল ড্রাগন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশাল সাইনবোর্ডে লেখা ‘বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা আর ড্রাগন ফলের রাজধানী গৌরিনাথপুর’। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার অজপাড়াগাঁ এই গ্রামটিতেই এখন বসছে দেশের প্রথম ড্রাগন ফলের হাট।

আড়তদার নাজমুল হোসেন জানান, ড্রাগনের নতুন হাট তৈরি হওয়ায় কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক’শ বেকার যুবকের। আর ন্যায্য মূল্যে সময় মতো ড্রাগন বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষকরা।

ঢাকা থেকে আসা ব্যাপারী আবুল কালাম জানান, একই জায়গায় মান যাচাইয়ের মাধ্যমে আমরা ফল কিনতে পারছি। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ার কারণে সারাদেশ থেকে ব্যাপারীরা এ হাটে আসে ফল কিনতে। সঠিক মূল্যে ভালো ফল কেনা যায়। নিরাপত্তা ভালো।

গৌরীনাথপুর হাট কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দীন জানান, শুনতে অদ্ভুত লাগলেও মাত্র সাড়ে ৩ মাসের এ হাটে এখন দৈনিক বেচা-বিক্রি হয় ৫ কোটি টাকার ড্রাগন। অনেকে এলাকার নাম পরিবর্তন করে বলছেন ড্রাগনপুর। সারা বাংলাদেশ থেকে ব্যাপারীরা আসছে সপ্তাহে ৭ দিনের এ হাটে। মান ভেদে এক কেজি ড্রাগন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। এতে লাভবান হচ্ছেন ঝিনাইদহ, যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ আশপাশের জেলার ড্রাগন চাষীরা।

ঝিনাইদহ জেলা বিপণন কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, কৃষকদের ন্যায্য মূল্য পেতে ও বাজার ব্যবস্থা আরো সম্প্রসারণে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে কার্যক্রম চলছে।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী জানান, ড্রাগন চাষে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জেলায় ৩ বছরের ব্যবধানে ড্রাগনের চাষ বেড়েছে প্রায় ৭’শ হেক্টর জমির। হাটে বর্তমানে ২৫-৩০টি আড়ৎ রয়েছে। ২০২১ সালে ড্রাগনের চাষ হয় ১’শ ৪১ হেক্টর জমিতে। ৩ বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮’শ ৪২ হেক্টর জমিতে।

শেয়ার করুন:

Recommended For You