সর্বজনীন পেনশন : প্রথম দিনে জমা ৮৭ লাখ টাকা

সর্বজনীন পেনশন ফান্ড চালুর প্রথম দিনে জমা হয়েছে ৮৭ লাখ টাকার বেশি পরিমাণ অর্থ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) প্রথম দিনে অনলাইনের মাধ্যমে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন এক হাজার ৬৬৬ জন। এছাড়া ওয়েবসাইটি ভিজিট করেছেন ১১ হাজারের বেশি গ্রাহক।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্রগুলো বলছে, পেনশন তহবিলের সঠিক ব্যবহার ও বিনিয়োগে খুব শিগগিরই ‘পেনশন ফান্ড ম্যানেজমেন্ট অথরিটি’ গঠন করা হবে। সূত্র আরও জানায়, এ ফান্ডের অর্থ দেশের লাভজনক বড় বড় অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করা হবে। এতে লাভবান হবেন পেনশন সুবিধাভোগীরা।

উল্লেখ্য, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘সুখে ভরবে আগামী দিন, পেনশন এখন সর্বজনীন’ এ স্লোগানকে ধারণ করে গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) থেকে দেশের মানুষকে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে নতুন কর্মসূচি চালু করে সরকার। কর্মসূচি চালুর প্রথম দিনেই ভালো সাড়া মিলেছে।

দেশের চার শ্রেণির প্রায় ১০ কোটি মানুষকে সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থার আওতায় আনার কথা বিবেচনায় নিয়েই এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। শুরুতে পেনশন-ব্যবস্থায় রয়েছে চারটি আলাদা স্কিম। স্কিমগুলো হচ্ছে (প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা)। এর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাস, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি। এছাড়া রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে ও তাঁতি ইত্যাদি স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সমতা স্কিম।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সব নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে (www.upension.gov.bd) গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। যেসব প্রবাসীর বাংলাদেশের এনআইডি নেই, তারা বৈধ পাসপোর্টের ভিত্তিতে ব্যাংকিং চ্যানেল, অনুমোদিত মোবাইল আর্থিক পরিষেবা এবং এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা দিয়ে কর্মসূচিতে যুক্ত হতে পারবেন। নিবন্ধনের পর একটি নম্বর পাওয়া যাবে, যা দিয়ে চাঁদা পরিশোধসহ সব কাজ করা যাবে। গ্রামীণ পর্যায়ে থানার করতে সহযোগিতা করবে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। এ কার্যক্রমকে আরও সহজ করতে শিগগির মোবাইল অ্যাপস চালু করবে পেনশন কর্তৃপক্ষ।

শেয়ার করুন:

Recommended For You