জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘হাসিনা : এ ডটারস টেল’ এবার মুক্তি পাচ্ছে দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের মুখ থেকে তার বিদেশ জীবন, দেশে ফিরে আসার কথা শোনা যায় এই প্রামাণ্যচিত্রে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথাও এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়, বরং এই ডকুড্রামার মূল উপজীব্য বিষয় ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। প্রামাণ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর কন্যার ব্যক্তিগত জীবনের নানা গল্পের সাথে তুলে ধরা হয়েছে ১৯৭৫ সালের সেই ভয়াবহ সময়ের কথা, যে সময় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যেকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়, ১৯৭৫ সালের পর কীভাবে তিনি বেঁচে ছিলেন তার ইতিহাস অনেকের কাছেই অজানা। সেই আজানা ইতিহাস সবার মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই প্রামাণ্যচিত্রে।
আর একারণেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সাথে এই প্রামাণ্যচিত্রটির সম্পৃক্ততার বিষয়টি মাথায় রেখে চরকিতে এর মুক্তির দিন ঠিক করা হয়েছে ১৫ই আগস্টে।
‘হাসিনা : এ ডটারস টেল’ প্রামাণ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং অ্যাপলবক্স ফিল্মস যৌথভাবে। প্রযোজক রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও নসরুল হামিদ বিপু এবং পরিচালনা করেছেন অ্যাপল বক্স ফিল্মসের পিপলু আর খান।
প্রামাণ্যচিত্রটি ২০১৮ সালের ১৬ নভেম্বর সারা দেশের নির্ধারিত সিনেমা হলে প্রথম প্রদর্শিত হয়, সিলভার স্ক্রিনে প্রদর্শনী শুরু হওয়ার পর থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহে বক্স অফিসে সবচেয়ে সফল ছিল প্রামাণ্যচিত্রটি। আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত এবং প্রশংসিত হয় প্রামাণ্যচিত্রটি। দর্শক চাহিদার কথা বিবেচনায় এনে প্রামাণ্যচিত্রটি পরবর্তিতে টেলিভিশন চ্যানেলেও সম্প্রচার করা হয়। এবার তারই ধারাবাহিকতায় নতুন ধারার বিনোদন মাধ্যম ওটিটি-এর দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এটি মুক্তি দেয়া হচ্ছে চরকি’তে।
প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাণ ভাবনা প্রসঙ্গে এর পরিচালক পিপলু আর খান বলেন, ডকুড্রামায় একজন শেখ হাসিনার রান্না ঘর থেকে শুরু করে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন, বেঁচে থাকার সংগ্রামসহ ব্যক্তিগত, পারিবারিক, রাজনৈতিক জীবনের নানান দিক ফুটে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানার জীবনের কথাও উঠে এসেছে এতে। এই ডকুড্রামার মধ্য দিয়ে একটি সত্যনিষ্ঠ জীবনপ্রবাহকে পর্দায় হাজির করতে চেয়েছি।