ভারী বর্ষণে লক্ষ্মীপুরে আঞ্চলিক মহাসড়ক বিপর্যস্ত

লক্ষ্মীপুর-চট্রগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করেন। কিন্তু আঞ্চলিক মহাসড়কের অনেক স্থানে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে টানা ভারি বর্ষণে। এতে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের, ঘটছে দুর্ঘটনা। সেই সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে আঞ্চলিক মহাসড়কটির ভালো স্থানগুলোও ।

চন্দ্রগঞ্জ পুলিশ লাইন্স-এর সম্মুখে, কারাগারের সামনে, লক্ষ্মীপুর টার্মিনালের সামনে, মাইলের মাথা, রায়পুর, বোয়াডারসহ এলাকায় সড়কের এক পাশ ঠিক থাকলেও অন্যপাশে মাটি সরে যেয়ে সড়ক তীব্র ভাঙ্গনের মুখে খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের এই অংশে বেহাল দশার সৃষ্টি হলেও সংস্কারের স্থায়ী উদ্যোগ নেয়নি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। আঞ্চলিক মহাসড়কটির এই অংশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ২৮ মিটারজুড়ে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষাকালে পানি জমে থাকায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এসব গর্তে হরহামেশাই আটকে পড়ছে যানবাহন। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ফলে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন।

এ ছাড়া সড়কের পাশে জমে থাকে কাঁদা। ড্রেন না থাকায় পানি জমে বিটুমিন নষ্ট হয়ে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এর ফলে দিন বোয়াডার থেকে চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত দিন দিন সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। চলাচলের বিকল্প পথ না থাকায় প্রতিদিন গতি কমে যেয়ে পড়তে হয় বাজারে বাজারে যানবাহনের দীর্ঘ যানজটের।

যশোর-লক্ষ্মীপুরের আল-আরাফাহ পরিবহনের বাসচালক মনির মিয়া বলেন, ‘এই এলাকায় প্রতিদিনই গর্তে পড়ে হেলেদুলে চলছে বাস। এতে যাত্রীরা বিরক্ত হয়। প্রায়ই গর্তে যানবাহন পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে, কখনও যানজটে আটকা পড়তে হচ্ছে। এতে যাত্রীরা পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। সড়ক সংস্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’

চন্দ্রগঞ্জ-এর সাংবাদিক ইমান হোসেন বলেন, ‘ছোট ছোট গর্তের কারণে ঝাঁকুনিতে ট্রাক থেকে পানি পড়ে নানাভাবে সড়ক নষ্ট হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বাইক চালাতে যেয়ে গর্তে পড়ে আহত হচ্ছে । গর্তের কারণে বিটুমিনের রাস্তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বিভিন্ন বাজারের মতো কংক্রিটের রাস্তা করা উচিত।’

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অঞ্জন দাশ বলেন, ‘উন্নয়ন সমন্বয় সভায় রাস্তাটির বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। চলমান সমস্যা সমাধানে খুব দ্রুতই সংস্কার কাজ শুরু হবে। সওজ বিভাগ প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটির সংস্কার কাজ করবে।’

লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের উন্নয়নের জন্য বৃহৎ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। অস্থায়ী সমাধানের জন্য সাময়িকভাবে গর্তগুলো কার্পেটিং করা হচ্ছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই সড়কটি সংস্কার করা হবে।’

শেয়ার করুন:

Recommended For You